চলছে হেমন্ত কাল, তবে শীতকাল দরজায় এসে কড়া নাড়ছে। বাংলাদেশের অন্যান্য জায়গায় শীত অনুভব না হলেও উত্তরের জেলা গুলোতে বেশ ভালো ভাবেই শীত অনুভব হচ্ছে। এসময় আকাশ প্রায় মেঘমুক্ত থাকে। আর এই মেঘ মুক্ত আকাশে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায় কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে ভীড় জমে হাজারো ভ্রমণ পিপাসু মানুষের। এবার নীলফামারীর চিলাহাটি থেকেও দেখা মিলছে কাঞ্চনজঙ্ঘার।
তেতুলিয়া থেকে দার্জিলিং এর দুরুত্ব ৫৮ কিলোমিটার আর সেখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার দুরুত্ব ১১ কিলোমিটার। বাংলাদেশের সর্ব উত্তর পশ্চিমের কোণে অবস্থিত পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়া সবথেকে কাছে হাওয়ায় সেখান থেকে বেশ ভালো ভাবেই এই মেঘমুক্ত আকাশে কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা মিলে। নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে সবথেকে স্পেষ্ট দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘার।
এদিকে উত্তরের নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার সর্বউত্তরের ভোগডাবুরী ইউনিয়নে রয়েছে চিলাহাটি বাজার। ৩০ নভেম্বর বেশ ভালো ভাবেই এখান থেকে দেখা মিলছে কাঞ্চনজঙ্ঘার।গত কয়েকদিন পূর্ব আকাশে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে স্পষ্ট হতে থাকে কাঞ্চনজঙ্ঘা। আর দু-দিন থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে প্রায় সারাদিন উত্তরের সীমন্তের দিকে তাকালে কাঞ্চনজঙ্ঘার।তেতুলিয়ার মত কাছে না হলেও চিলাহাটি থেকেও অনেকটা কাছে হয় দার্জিলিং-কাঞ্চনজঙ্ঘা এবং এখান থেকেও অনেকটা পরিষ্কার দেখা মিলছে কাঞ্চনজঙ্ঘার ।
কিভাবে আসবেন?- চিলাহাটি আসতে গেলে ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে (নীলসাগর ও চিলাহাটি এক্সপ্রেস) নামে ২ টি ট্রেন সপ্তাহে এক দিন করে বন্ধ থেকে নিয়মিত (চিলাহাটি-ঢাকা-চিলাহাটি) চলাচল করে। তাছাড়া গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে আসলেও উত্তরের দিকে বেশ কয়েকটি বাস চলাচল করে ঢাকা-চিলাহাটি-ঢাকা।বাস বা ট্রেনে করে আসতে পারেন এই চিলাহাটিতে। চিলাহাটিতে থাকার জন্য রয়েছে সরকারী ডাকবাংলো। অনেক কমখরচে আগে ইউএনও (ডোমার) উপজেলার কাছে অনুমতি নিয়ে থাকতে পারবেন এই ডাকবাংলোতে। আর এখানে বেশ কয়েকটি হোটেলও রয়েছে যেখানে অনেক কম খরচে খাবার খেতে পারবেন। তেতুলিয়া যেতে অনেক দূর মনে হলে, আশেপাশের অনেকে আসতে পারেন চিলাহাটিতে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার জন্য।
আজ ৮ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | শীতকাল | ২২শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি | সন্ধ্যা ৭:৪৭ | বুধবার
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজ বাপ্পি