বাজারে চালের সরবরাহ বাড়ানোর পাশাপাশি দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেসরকারিভাবে চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে শুল্ক ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করেছে সরকার।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার রোববার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সচিবালয়ে চালের বাজার স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার জানান, আমদানি শুল্ক ৩৭ দশমিক ৫০ শতাংশ কমানো হয়েছে।
সরকার কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা শুরু করেছে জানিয়ে সাধারণ চন্দ মজুমদার বলেন, ‘সরকার নির্ধারিত মূল্য মণপ্রতি ১ হাজার ৪০ টাকা। কিন্তু বাইরে কৃষকরা ধান বিক্রি করে লাভবান হলে তখন সরকারের কাছে বিক্রি করে না। বাইরে ১ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে ধান বিক্রি করছেন কৃষকেরা। চালের দর বাণিজ্য, কৃষি, অর্থ ও খাদ্য মন্ত্রণালয় মিলে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। কিন্তু সহনীয় দাম কী করা যায়, সেটার কোনো নীতিমালা নেই। ধানের দাম কমলে আমরা কৃষকের জন্য হাহাকার করি। আবার চালের দাম বাড়লেও হাহাকার করি।’
একটা ন্যায্য দর ঠিক করতে নীতিমালা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই একটা স্ট্যান্ডার্ড রেট থাকতে হবে। এ জন্য সহনশীল স্ট্যান্ডার্ড রেট তৈরি করতে হবে। গত ২৩ ডিসেম্বর বৈঠক হয়েছে। সেখানে বাণিজ্য, কৃষি, অর্থ ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ছিলেন। একটা কমিটিও করা হয়েছে। সেই কমিটি নীতিমালা তৈরি করতে কাজ করবে। আর সেটা চূড়ান্ত হলে দাম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।’
প্রসঙ্গত, কিছুদিন থেকে চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বাজারে দাম বেশি থাকায় লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আমন চালও সংগ্রহ করতে পারছে না সরকার। এ কারণে দফায় দফায় বেড়েছে চালের দাম। তাই এই অস্থির পরিস্থিতিতে চালের দাম স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নিলো সরকার।