মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের চা বাগানগুলোতে চায়ের ভরা মৌসুম চলছে। বাগানে বাগানে শ্রমিকরা ব্যস্ত সময় পার করছে চা তুলতে। এ সময়ে বেশি চা পাতা তুলতে পারায় শ্রমিকদের আয়ও বেড়েছে।
মার্চের শেষে মূলত চা গাছে কুঁড়ি আসতে শুরু করে। জুলাই পর্যন্ত পাতা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। পাতা তোলা যায় নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত। যদিও সেপ্টেম্বর মাসের পর উৎপাদন আবার কমতে শুরু করে। চা বাগানে সর্বোচ্চ উৎপাদন হয় জুলাই ও আগস্ট মাসে।
উপজেলার ভাড়াউড়া চা বাগানের শ্রমিক পাবর্তী গৌঢ় জানান, বাগানের প্রত্যেক শ্রমিকই বর্তমানে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি পাতা তুলছেন। সবার হাজরি (চায়ের ঝুড়ি) এখন দুইটা হয়। তিনি বলেন, বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ৬৫ থেকে ৭৫ কেজি পাতা তুলতে পারছেন তিনি।
তাএয়া বাগানের অপর শ্রমিক সাবিত্রী ভূঁইয়া জানান, বর্তমানে ৭০ কেজি পর্যন্ত চা পাতা তুলতে পারছেন তিনি। এক হাজরিতে ২৪ কেজি চা পাতা। এক হাজরি চা পাতা তুললে তাদের ১৭০ টাকা দেওয়া হয়। এর পর প্রত্যেক কেজিতে শ্রমিকরা আরও ৫ টাকা করে অতিরিক্ত পাবেন।
বাংলাদেশ চা গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. ইসমাইল হোসেন বলেন, এই মৌসুমে চায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০২ মিলিয়ন কেজি। চা বোর্ডের চেয়ারম্যানের নির্দেশে চলমান মৌসুমের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সমন্বিতভাবে কাজ করছেন তারা। তিনি জানান, কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি চায়ের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আশাবাদী করে তুলছে সংশ্লিষ্টদের।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের পরিচালক ড. রফিকুল হক জানান, এখন ভড়া মৌসুম চা উৎপাদনের। চলতি মাসে আশানুরূপ উৎপাদন হচ্ছে।
তিনি বলেন, জুলাই ও আগস্ট এ দুই মাসে বাগানগুলো থেকে কমপক্ষে ২৫ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হবে। এতে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০২ মিলিয়ন কেজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী চা সংশ্লিষ্ট সবাই।
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পি