চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম.রেজাউল করিম চৌধুরীর উদ্দ্যোগে চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়ার তুলাতলীতে কোভিড-নন কোভিড রোগীদের জন্য ওয়েডিং পার্ক কমিউনিটি সেন্টারে প্রস্তাবিত ১০০ শয্যা বর্তমানে ৭০ শয্যা বিশিষ্ট “মুক্তি করোনা আইসোলেশন সেন্টার” এর উদ্বোধন করেন স্থানীয় চট্টগ্রাম-৯ আসনের এমপি ও বর্তমান সরকারের শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
আজ শনিবার (২৭ জুন) সকালে (প্রস্তাবিত ১০০ শয্যা) বর্তমানে ৭০ শয্যা বিশিষ্ট “মুক্তি করোনা আইসোলেশন সেন্টার” এর উদ্বোধন করা হয়। নগরীর বাকলিয়ার কালামিয়া বাজার সংলগ্ন ওয়েডিং পার্ক কমিউনিটি সেন্টারে এটি স্থাপন করা হয়।
উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন মুক্তির উদ্যোক্তা ও মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী, স্বাচিপ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আ ম ম মিনহাজুর রহমান, কাউন্সিলর হারুন উর রশিদ, শহিদুল আলম শহিদ, এম আশরাফুল আলম, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাহমুদুল হাসান তুষার, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ সম্পাদক আজিজুর রহমান আজিজ, মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী রুমকি সেন গুপ্তা, সাবিনা আক্তার রুজি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক উপ সম্পাদক ইলিয়াস উদ্দিন প্রমুখ।
চিকিৎসা কেন্দ্রটি ১০০ শয্যার করা হলেও আপাতত ৭০ শয্যার সেবা পাবে নগরবাসী। চিকিসা কেন্দ্রটি পরিচালনার জন্য ৮ জন ডাক্তার এবং ২০ জন নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। উদ্বোধনের পর থেকেই রোগী ভর্তি শুরু করা হবে বলে জানিয়েছে চিকিৎসা কেন্দ্রটির উদ্যোক্তা রেজাউল করিম চৌধুরী।
উদ্বোধনকালে “মুক্তি করোনা আইসোলেশন সেন্টার” এর উদ্দ্যেক্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা এম.রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘চট্টগ্রামের যে প্রাইভেট ক্লিনিকগুলো আছে সেগুলো সরকারের এত নির্দেশনার পরও মানুষের সাথে স্বাভাবিক আচরণ করছে না। রোগীরা যথাযথ চিকিৎসা না পেয়ে কষ্ট পাচ্ছে। এসব দেখে আমি খুব কষ্ট পেয়েছি। নিজে একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি মনে করেছি এ সময় মানুষের জন্য কিছু করা দরকার। এ জন্য উদ্যোগটি নিয়েছি। যাতে মানুষকে অক্সিজেনসহ ন্যূনতম চিকিৎসাসেবা টুকু দিতে পারি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই আইসোলেশন সেন্টারে কোভিড রোগীদের পাশাপাশি নন-কোভিড রোগীদেরও চিকিৎসা দেওয়া হবে। অনেক সময় মানুষ ছোটখাটো কিছু সমস্যার জন্য ডাক্তার খুঁজে পায় না। তাই আমরা বাইরে একটা হেল্প ডেস্ক বসাচ্ছি। সেখানে নন-কোভিডদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হবে।’ রোগীরা সব সেবাই পাবেন বিনামূল্যে- যোগ করেন রেজাউল করিম চৌধুরী। এই আইসোলেশন সেন্টার করতে যারা সার্বিকভাবে সহায়তা করেছেন তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানান এম. রেজাউল করিম চৌধুরী।
তিনি বলেন, আগত রোগীদের প্রথমে ইমার্জেন্সিতে নেয়া হবে। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসার পর প্রয়োজনে ভর্তির ব্যবস্থা নেবেন। এ জন্য রোগীকে কোথাও কোনো ফি দিতে হবে না। এটি পুরোপুরি বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবার একটি কেন্দ্র। এছাড়া, ডাক্তার নার্সদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে সিলিন্ডারের অক্সিজেনের মাধ্যমে রোগীর প্রাথমিক চাহিদা পূরণ করা হবে।
‘মুক্তি আইসোলেশন সেন্টার’ প্রতিষ্ঠার পেছনে ওয়ার্ড কাউন্সিলর আশরাফুল আলম এবং হারুনুর রশিদ যথেষ্ট সহযোগিতা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এছাড়া, নগরীর সল্টগোলায় অবস্থিত বিজিএমইএ হাসপাতালকে ৫০ শয্যার কোভিড আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে গড়ে তোলার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এটিও খুব শীগ্রই উদ্বোধন করা হবে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।