ডিবিএন ডেস্কঃ আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে এমন অজুহাতে দেশের বাজারে ফের আরেক দফা দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছেন ভোজ্যতেলের ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন তেলের দাম লিটারে ১২ টাকা বাড়ানোর চেষ্টা করছে। আজ ১ মার্চ থেকে বাড়তি দাম কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে তারা।
তবে সেই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
সোমবার বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনায় নিয়ে রমজানের আগে তেলের দাম আর বাড়ানো হবে না।
সর্বশেষ গত ৬ ফেব্রুয়ারি সয়াবিনের দাম লিটারে ৮ টাকা বাড়িয়ে ১৬৮ টাকা করা হয়েছে। লিটারে আরও ১২ টাকা বাড়িয়ে ১৮০ টাকা করতে চাইছে ব্যবসায়ীরা। ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর সুনির্দিষ্টি ঘোষণা দিয়ে সমিতির সচিব নুরুল ইসলাম মোল্লা স্বাক্ষরিত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিসি) কাছে।
দেশে ভোজ্যতেল বিপণনে সবচেয়ে শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি সিটি গ্রুপের পরিচালক (অর্থ) বিশ্বজিৎ সাহা গণমাধ্যমকে বলেন, দাম বাড়ানোর আবেদন করেছি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সেটি নিজস্বভাবে বিচার-বিশ্লেষণ করবে। এখন লিটারে ১৬৮ টাকায় যে তেল বিক্রি করা হচ্ছে, সেটির আন্তর্জাতিক বাজার প্রতি টন ১ হাজার ৩০০ ডলার। এখন যে তেল বাজারে ছাড়তে যাচ্ছি, সেটি ১ হাজার ৪২০ ডলারের। আগামী এক থেকে দেড় মাস পর আন্তর্জাতিক বাজারে কোথায় গিয়ে ঠেকে, সেটি আমরা এখনই বলতে পারছি না। কিন্তু এক হাজার ৭০০ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস আছে। তখন পরিস্থিতি কী হবে, তা জানি না।