বাংলাদেশের হেড কোচের পদ থেকে চন্ডিকা হাথুরুসিংহে কে বরখাস্ত করেছে বিসিবি। বরখাস্তের পাশাপাশি চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দিয়েছে সংস্থাটি। নোটিশের উত্তর দিতে তাকে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
গত ২০২৩ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে টাইগারদের কোচ হয়ে আসেন এই শ্রীলঙ্কান। ৩৫ হাজার ডলারে তার সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল। চুক্তির মেয়াদ ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছিল। সেই চুক্তিতে ছিল একটি শর্ত। মেয়াদ শেষের আগে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হলে দিতে হবে চুক্তির সময়কাল পর্যন্ত অবশিষ্ট বেতন ও জরিমানা। সেজন্য কৌশলগত কারণে হাথুরুকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিসিবি। ক্রিকেটারকে লাঞ্চিত করা এবং অনুমতি ছাড়া অতিরিক্ত ছুটি কাটানোর বিষয়ে তার কাছে চাওয়া হয়েছে উত্তর। অন্যথায়, চুক্তি অনুসারে প্রাপ্ত বাকি মাসগুলোর বেতন পাবেন না সাবেক এই লঙ্কান ক্রিকেটার।
আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদ এই বরখাস্তের সিদ্ধান্তের কথা জানান। গত বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপে এক ক্রিকেটারকে লাঞ্চিত করা এবং অনুমতি ছাড়া অতিরিক্ত ছুটি কাটানোর দায়ে হাথুরুসিংহেকে বরখাস্তের কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ফারুক বলেন, ‘দুই তিনটি ঘটনা ঘটেছে। যেগুলো আসলে একজন সাবেক খেলোয়াড় হিসেবে আমার জন্য খুব পীড়াদায়ক ছিল। পাশাপাশি এটা দলের জন্যও খুব একটা ভালো উদাহরণ ছিল না। সেগুলো বিবেচনা করে আজকে আমরা তাকে একটা কারণ দর্শাও নোটিশ এবং দায়িত্ব থেকে অব্যহতির চিঠি দিয়েছি।’
ফারুক আরো জানান, আরো আগে তার এই শাস্তি পাওয়া উচিৎ ছিল। পাকিস্তান ও ভারত সফরের জন্য সম্ভব হয়নি। আমরা নতুন কোচ খুঁজছিলাম। বেস্ট অপশন পেয়ে গেছি।
প্রসঙ্গতও, হাথুরুসিংহের বিরুদ্ধে চুক্তির শর্ত ভঙ্গেরও অভিযোগ উঠেছিল। জানা গেছে, ৪৫ দিন ছুটির বিপরীতে প্রথম বছরে ৬৭ দিন এবং দ্বিতীয় বছরে তিনি ৫৯ দিন ছুটি কাটিয়েছেন। এ কারণেই তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে বিসিবি।
আজ ২০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ৩রা জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১০:৪৭ | মঙ্গলবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি