চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামে র্যাব-৭ এর পৃথক দুই অভিযানে সাড়ে ৮ কোটি টাকার ইয়াবাসহ চার মাদক কারবারিকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত ৪ মাদক কারবারি কক্সবাজারের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদক নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচারের জন্য যাচ্ছিল।
আজ শনিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে বিষয়টি বাংলাদেশ জার্নালকে জানিয়েছেন র্যাব-৭ এর চট্টগ্রামের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নিয়াজ মোহাম্মদ চপল।
শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রামের পটিয়ার বাইবাস রোড এলাকা থেকে যাত্রীবাহী বাসে করে ইয়াবা পাচারের সময় ৪ কোটি টাকার ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারিকে আটক করা হয়। এছাড়া বৃহস্পতিবার রাতের অভিযানে কর্ণফুলী থানাধীন শিকলবাহা এলাকা থেকে ৪ কোটি টাকা মূল্যের ইয়াবাসহ ২ মাদক কারবারিকে আটক করা হয়।
পটিয়া এলাকা থেকে আটককৃতরা হলেন- কক্সবাজারের উখিয়া থানার পূর্ব ফারীর বিল এলাকার মো.হোসেনের ছেলে নুরুল ইসলাম (৪৩) এবং একই এলাকার আঞ্জুমান পাড়ার শামছুল হকের ছেলে মাহমুদুল হক প্রকাশ লালু (২৪)।
অন্যদিকে কর্ণফুলী থেকে আটককৃতরা হলেন- কক্সবাজারের উখিয়া থানার ফারীর বিল এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মো. ইসমাইল এবং একই এলাকার পূর্ব ফারীর বিলের হাজী আবুল হোসেনের ছেলে মো. রেদওয়ান (২৬)।
র্যাব ৭ এর সিনিয়র সহকারি পরিচালক (মিডিয়া) নিয়াজ মোহাম্মদ চপল বলেন, কতিপয় মাদক কারবারি যাত্রীবাহী বাস যোগে বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য নিয়ে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের দিকে আসছে এমন খবর পাওয়া যায়। ওই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে পটিয়া বাইপাস রোড এলাকায় রাস্তার উপর একটি বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন করে গাড়ি তল্লাশি শুরু করা হয়। এক পর্যায়ে র্যাবের চেকপোস্টের দিকে আসা একটি যাত্রীবাহী বাস থামানোর সংকেত দিলে বাসটি র্যাবের চেকপোস্টের সামনে থামায়। এ সময় বাস থেকে নেমে দুইজন ব্যক্তি প্লাস্টিকের বস্তা নিয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে র্যাব সদস্যরা ধাওয়া করে তাদের আটক করে। তাদের হেফাজতে থাকা প্লাস্টিকের বস্তা তল্লাশি করে ১ লাখ ৪৩ হাজার ১৭৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য সাড়ে ৪ কোটি টাকা বলে তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতের আরেক অভিযানে ২ জনকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা ১ লাখ ৩৩ হাজার ৬৩০ ইয়াবা। যার আনুমানিক দাম ৪ কোটি টাকা।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা কক্সবাজারের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদক দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচারের কথা স্বীকার করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পটিয়া ও কর্ণফুলী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।