১৫ বছরের মারুফ পুলিশের সোর্সকে চোর মনে করায় মা-বোনকে পুলিশের অপমান ও নির্যাতন সইতে পারেনি । বেছে নেয় আত্মহননের পথ। এমন অভিযোগ শোকবিহ্বল পরিবারের। এ ঘটনায় পুলিশের এএসআইকে প্রত্যাহারের পাশাপাশি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পড়ে আছে দশম শ্রেণীর ছাত্র মারুফের মরদেহ। আগ্রাবাদের বাসায় বিলাপ থামছেই না স্বজনদের। পরিবারের অভিযোগ, তুচ্ছ ঘটনার জেরে মরতে হয়েছে তাকে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যার পর পুলিশের এক সোর্স মারুফদের বাসায় উঁকি-ঝুঁকি দিচ্ছিলেন । কয়েকদিন আগে মারুফের সাইকেল-মোবাইল ফোন এবং টাকা চুরি হওয়ায় সে ওই সোর্সকে চোর সন্দেহে দৌড়ে গিয়ে আটক করে মারুফ। এরপরই ডবলমুরিং থানার এএসআই হেলালসহ পুলিশ সদস্যরা এসে মারুফের মা-বোনকে মারধর করে থানায় নিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করে মারুফ।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত এএসআই হেলালকে প্রত্যাহারের পাশাপাশি ঘটনা অনুসন্ধানে পুলিশের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (পশ্চিম) ফারুকুল হক।
চার ভাইবোনের মধ্যে মারুফ ছিল দ্বিতীয়। চাচার দোকানে চাকরি করার পাশাপাশি পড়ালেখা করছিল। নগরীর টিএন্ডটি কলোনির উচ্চ বিদ্যালয় থেকে তার এবার এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল।