বরগুনায় চাঞ্চল্যকর হৃদয় হত্যা মামলায় জড়িত ১৯ শিশুর রায় ঘোষণা হয়েছে। বরগুনা জেলা কারাগারের সেফহোম থেকে ১৬ শিশুকে সকাল ৯টায় আদালতে হাজির করা হয়। বাকি ৩ শিশু জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছে।
বরগুনার শিশু আদালতের বিচারক ও সিনিয়র জেলা জজ মশিউর রহমান খান এ রায় ঘোষণা করেন।
১২ জন আসামীকে ১০ বছর মেয়াদে আটক আদেশ প্রদান করা হয় তাঁরা হলেন ইউনুছ কাজী ওরফে ইউনুছ, রানা আকন, ইমন হাওলাদার, জুয়েল কাজী, নয়ন হাওলাদার (পলাতক), সজিব (পলাতক), নাজমুল শিকদার, রাইয়ান বিন অন্তর ওরফে অন্তর, সিফাত ইসলাম (পলাতক), মোশারেফ, সাইফুল মৃধা, রাব্বি।
৪ জন আসামী ৭ বছর মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়, সাগর গাজী, সাইফুল কাজী, সোহাগ কাজী, ফাইজুল ইসলাম। ৩ জন আসামী বেখসুর খালাস দেওয়া হয়, শফিকুল ইসলাম, নাঈম কাজী, রবিউল ইসলাম।
২০২০ সালের ২৫ মে ঈদের দিন সে বন্ধুদের সঙ্গে পায়রা নদীর পাড়ে ঘুরতে যায়। সেখানে নদী তীরে বসা নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। এরই জেরে বন্ধুরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করে। পরদিন হৃদয়ের মা ফিরোজা বেগম বরগুনা থানায় হত্যা মামলা করেন।
হৃদয় মা বলেন,আমার আইনজীবীগন টাকায় বিক্রি হয় নায়। আমি রায়ে খুশি দেশে এখনও সত্যের জয় হয়। প্রধান মন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাই আমাকে জেনো নিরাপত্তা দেয়া হয়।
বরগুনা জেলা শিশু আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, পূর্বনির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী এই আলোচিত মামলার রায় ঘোষণা হয়েছে। এ মামলায় ১৯ জন অপ্রাপ্ত বয়সস্ক (শিশু কিশোর) আসামির রায় ঘোষণা করা হয়েছে। আমি মনে করি বিচারক ন্যায় বিচার করেছেন। বাকি প্রাপ্ত বয়সস্ক আসামিদের বিচারও ন্যায় বিচার পাবো।
আসামী পক্ষের আইনজীবী এ্যাড.মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন,আমরা রায়ে সন্তুষ্ট নয়। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো এবং বিশ্বাস উচ্চ আদালতে সঠিক রায় পাবো।
*** আজ ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | দুপুর ২:৪২ | শুক্রবার ***
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পি