ঘুর্ণিঝড় আম্ফান বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, শনিবার (১৬ মে) রাতের মধ্যে গভীর নিম্নচাপ থেকে এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তর হতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সূত্র জানিয়েছে, রাতে গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরের ব্যাপক সম্ভবনা রয়েছে। খুলনা ও বরিশালের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ধরে রাখা হয়েছে। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গেও এর রেশ থাকতে পারে।
সূত্র বলছে, গভীর নিম্নচাপটি ঘুর্ণিঝড়ে রূপান্তর হওয়ার সম্ভবনা প্রবল। কারণে নিম্নচাপ এলাকায় মুহুর্তে মুহুর্তে বাতাসের গতিবেগ বাড়ছে। শুক্রবার দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়। সর্বশেষ শনিবার বিকেলে বাংলাদেশের উপকূল থেকে ১৩০০ কিলোমিটার দূরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এখনো নিম্নচাপটি দূরে থাকায় তারা এক নম্বর সতর্ক সংকেত দিয়েছেন। তবে এটি আরো কাছে এলে সংকেত বাড়ানো হবে। শনিবার (১৬ মে) রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন বলেন, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও সামান্য পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।
সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার; যা দমকা অথবা ঝড়াে হাওয়ার আকারে ৬০ কি. মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ০১ (এক) নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।