অর্থ-বানিজ্য ডেস্কঃ অর্ডার করে যেসব গ্রাহক প্রতারিত হয়েছেন তাদের টাকা ফেরত দেওয়া শুরু করেছে আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকম। আজ সোমবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ২০ জন প্রতারিত গ্রাহককে ৪০ লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার মধ্যে দিয়ে এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে।
এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, “২০ জন গ্রাহক ৪০ লাখ ২ হাজার ৪১৩ টাকা ফেরত পেয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে ভোক্তাদের অর্থ ফেরতের কার্যক্রম উদ্বোধন করলাম।”
তিনি আরো বলেন, “এভাবে বিভিন্ন ইকর্মাস প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে যারা প্রতারিত হয়েছেন তাদের টাকা ফেরত দেয়ার প্রক্রিয় শুরু হলো। তবে যেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা আছে তাদের গ্রাহকদের টাকা এখন ফেরত দেয়া সম্ভব না। যাদের বিরুদ্ধে শুধু অভিযোগ আছে, মামলা নেই, তাদের গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং হচ্ছে। ”
এর আগে রোববার (২৩ জানুয়ারি) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক নোটিশে বলা হয়, ফস্টার পেমেন্ট গেটওয়ের কাছে কিউকম ডটকমের গ্রাহকের আটকে থাকা টাকা সোমবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়। প্রাথমিকভাবে কিউকমে আটকে থাকা ২০ জন গ্রাহককে এই টাকা দেওয়া হবে। পরে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য গ্রাহকদের পাওনা অর্থ পরিশোধ করা হবে।
উল্লেখ্য, পেমেন্ট গেটওয়ে ফস্টারের কাছে কিউকমের ৩৯৭ কোটি টাকা আটকে আছে। এ টাকার মধ্যে ক্রেতাদের অন্তত ১৬৬ কোটি টাকা রয়েছে, যার বিপরীতে পণ্য ডেলিভারি করেনি ই-কমার্স কোম্পানিটি। ফস্টারের জব্দ করা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এসব টাকা আটকে রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ফস্টারের দুটি হিসাব স্থগিত করেছে, যেখানে প্রায় ১৯৪ কোটি টাকা রয়েছে। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের তথ্য অনুযায়ী, কিউকমের ছয়টি অ্যাকাউন্টে গ্রাহকরা জমা করেছেন ৭৯০ কোটি টাকা। লেনদেন স্থগিত থাকা এসব অ্যাকাউন্টে স্থিতির পরিমাণ ২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। বাকি টাকা তুলে নিয়েছে কোম্পানিটি। তবে আপাতত ৫৯ কোটি টাকার বিষয় নিয়ে বানিজ্য মন্ত্রনালয় কাজ করছে, যেখানে ৬ হাজার ৭২১ জনের লেনদেনের বিষয় রয়েছে। এসব ক্রেতা পণ্য পাননি। তাদের ৫৯ কোটি টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আজ ২০ জনের অর্থ ফেরত দেওয়া হলো। বাকিদের টাকা ফেরতের জন্য বানিজ্য মন্ত্রনালয় কাজ করছে।