কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়ন পরিষদের সচিব সাজেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রাম পুলিশের চাকুরী দেয়ার নামে এক যুবকের চার লাখ উনিশ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রতারিত ওই যুবক টাকা ও সনদ উদ্ধারের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন৷
প্রতারিত যুবকের নাম মমিনুল ইসলাম। তিনি একই ইউনিয়নের বোয়াইলভীড় গ্রামের ফেরদৌস আলীর ছেলে।
অভিযোগে জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদে যাতায়তের সুবাদে মমিনুলের সাথে ইউপি সচিব সাজেদুলের সখ্যতা গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে সচিব সাজেদুল পাঁচ লাখ টাকা দিলে ভাঙ্গামোড় ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম পুলিশের শুন্য পদে মমিনুলকে চাকুরি দিতে পারবে বলে প্রলোভন দেখায়। বিশ্বাস করে মমিনুল জমি বিক্রি করে কয়েকজন স্বাক্ষীর উপস্থিতিতে দুই কিস্তিতে সাজেদুলকে চার লাখ উনিশ হাজার টাকা প্রদান করেন। এ সময় সাজেদুল মমিনুলের এসএসসি পাশের মুল সনদও নিয়ে নেন। কিন্তু টাকা নেয়ার প্রায় তিন বছর পেরিয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত চাকুরি না দিয়ে শুধুই টালবাহনা চালিয়ে যাচ্ছেন সচিব সাজেদুল।
ভুক্তভোগি যুবক মমিনুল জানান, তিন বছর চাকুরির জন্য ঘুরে অবশেষে টাকা ও সনদ ফেরতের জন্য ইউএনও স্যারের নিকট অভিযোগ দিয়েছি। চাকুরীতো হবেনা টাকাটা ফেরত পেলে ব্যবসা করে জীবন বাঁচাবো।
অভিযোগের বিষয়ে ইউপি সচিব সাজেদুল ইসলাম জানান, ওটা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
এ দিকে অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি গত ৩০ আগস্ট অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছেন। তদন্ত কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা ও উপজেলা তথ্য ও প্রযুক্তি অধিদপ্তরের সহকারী প্রোগ্রামার।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার ও তদন্ত কমিটির প্রধান আব্দুস সালাম জানান, তদন্ত কার্যক্রম চালু আছে। উভয় পক্ষের লিখিত ও মৌখিক বক্তব্য নেয়া হয়েছে। সার্বিক পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পি