গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় নতুন করে হামলা শুরু করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। এ কারণে প্রাণে বাঁচতে ওই অঞ্চলসহ অন্য এলাকা থেকে ৯ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসঙ্ঘ।
মঙ্গলবার কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে সেখানকার মানুষকে একাধিকবার ঘরবাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নিতে হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হওয়ার পর মানুষের কোনো নিরাপত্তা থাকে না। সবকিছু ছেড়ে বারবার এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় আশ্রয় নিতে হয়। বারবার নতুন করে জীবন শুরু করতে হয়।
এদিকে জাবালিয়া শরণার্থী শিবির ও এর আশপাশে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরেও হামলা চালানো হয়েছে। জাবালিয়া শরণার্থী শিবির ও নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর এসব হামলায় প্রায় অর্ধশত মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে।
এদিকে ইউএনআরডাব্লিউএ জানিয়েছে, ‘বাস্তুচ্যুত মানুষগুলো লাগামহীন ক্লান্তি, ক্ষুধা ও ভয়ের মুখোমুখি হচ্ছে। তাদের যাওয়ার মতো নিরাপদ জায়গা নেই। পরিস্থিতি মোকাবেলায় অবিলম্বে একটি যুদ্ধবিরতিই আমাদের একমাত্র আশা।’
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে আকস্মিক বড়ো ধরনের হামলা চালায়। এ সময়ে তারা প্রায় এক হাজার ১৭০ ইসরাইলিকে হত্যা এবং ২৫০ জনকে বন্দী করে। এখনো হামাসের কাছে ১২৮ জন বন্দী হিসেবে আটক রয়েছে।
এদিকে ৭ অক্টোবর ইসরাইল গাজায় প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা শুরু করে যা এখনো চলছে। গাজায় ইসরাইলের অব্যাহত এ হামলায় ৩৫ হাজার ৫৬২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। আহত হয়েছে আরো ৭৯ হাজার ৬৫২ ফিলিস্তিনি।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম