খুলনায় কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ কনস্টেবল সুমন ঘরামীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় ১২০০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার (২ আগস্ট) রাতে লবণচরা থানার এসআই মোস্তফা সাকলাইন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
এছাড়া, কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে শুক্রবার বিকেলে ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে খুলনা সদর ও সোনাডাঙ্গা থানায় আলাদা দুটি মামলা হয়েছে। জানা গেছে, নিহত সুমন ঘরামীর বাড়ি বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলায়। স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে খুলনা নগরীর বয়রা এলাকায় ভাড়া থাকতেন। তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী কমিশনার সৌমেন বিশ্বাসের দেহরক্ষী ছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় খুলনার মোহাম্মদনগর এলাকায় পিটুনিতে নিহত হন তিনি। সমুনের স্ত্রী মিতু বিশ্বাস। তাদের ৬ বছর বয়সী স্নিগ্ধা নামে এক মেয়ে রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে খুলনায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে। সন্ধ্যার পরে আবার সোনাডাঙ্গা এলাকায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন দেয় বিক্ষোভকারীরা। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে পুলিশ সদস্য সুমন গুরুতর আহত হন। পরে রাতে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় পুলিশের আরো অন্তত ৩০ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, সুমন ঘরামীকে আন্দোলনকারীরা পিটিয়ে হত্যা করেছে। সংঘর্ষে পুলিশের আরও অন্তত ৩০ জন সদস্য আহত হয়েছেন।
আজ ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | শরৎকাল | ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৪:১৪ | শুক্রবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি