খাবার বা খাবারের প্যাকেট থেকে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস ছড়ানোর কোনো প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গত একদিন আগে জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই কথা বলা হয়।
সম্প্রতি চিনে ব্রাজিল থেকে আমদানি করা ফ্রোজেন মুরগির মাংসে মিলেছে করোনাভাইরাস। এমন গুজব থেকেই নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে চিনে। বৃহস্পতিবার আমদানি করা চিকেনে করোনাভাইরাস পাওয়ার কথা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছিলেন সেদেশের শেনঝেন শহরের স্থানীয় প্রশাসন। ব্রাজিলের সান্টা ক্যাটারিনার একটি কারখানা থেকে ফ্রোজেন চিকেন উইংস আমদানি করা হয়েছিল। তার একটি ব্যাচের চিকেন উইংসের নমুনা পরীক্ষা করে তাতে করোনাভাইরাস পাওয়া গিয়েছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ডা.মাইক রায়ান বলেন, মহামারিতে ইতোমধ্যেই মানুষ যথেষ্ট আতঙ্কিত হয়ে আছে। নতুন করে আর আতঙ্ক ছড়ানোর দরকার নেই। খাবার খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। অযথা খাবার এবং খাবারের প্যাকেট নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছুই নেই।
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার করোনা টেকনিক্যাল প্রধান মারিয়া ভান কেরখোভে বলেন, এরকম হাজার হাজার প্যাকেট পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। ১০ টিরও কম ক্ষেত্রে রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তাই খাবার, খাবারের প্যাকেট, ডেলিভারি করা খাবার থেকে করোনা ছড়ায় না বলেই আশ্বস্ত করেছেন তিনি।
তিনি আরও জানান, এখনও পর্যন্ত এরকম কোনও উদাহরণ নেই যে খাবারে ভাইরাস থাকলে, সেখান থেকে কেউ আক্রান্ত হয়েছেন। যে কোনও জিনিস রান্না করলে অন্যান্য ভাইরাসের মত করোনাভাইরাসও মরে যায়। খাবার ডেলিভারি দেওয়ার সংক্রমণ ছড়িয়েছে, এমন উদাহরণও প্রায় নেই বললেই চলে।
তাই খাবার থেকে অযথা আতঙ্কিত হবার কিংবা আতঙ্ক ছড়ানোর কোনও মানে নেই। শাক, সবজি, মাছ, মাংস সব খুব ভালো করে ধুয়ে নিয়ে উচ্চ তাপমাত্রায় রান্না করুন। ডিম ভালো করে সেদ্ধ করে তবেই খান। ফল ভালো করে ধুয়ে খান। এই সব সতর্কতা মেনে চললেই হবে।