নওগাঁয় সিভিল সার্জন অফিসের একটি টেন্ডার দাখিলকে কেন্দ্র করে সংঘটিত মারপিটের ঘটনায় বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নাসিম আহমেদ-এর নাম জড়িয়ে বিভ্রান্ত সৃষ্টির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে আওয়ামীলীগ ও বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন।
আওয়ামী লীগের জৈনক কেন্দ্রীয় নেতা মামুন নামের এক ঠিকাদার সিভিল সার্জন অফিসের একটি টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেন। টেন্ডার সংক্রান্ত গতানুগতিক ঘটনায় উক্ত মামুনের প্রতিপক্ষ অন্য ঠিকাদারদের সাথে অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি হয়। উক্ত ঘটনায় তাকে মারপিট ও কোন এক অফিসে ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।
এই ঘটনায় উক্ত মামুন খাদ্যমন্ত্রীর নাম উল্লেখ করে নওগাঁ সরকারি কলেজ সংসদের সাবেক ভিপি, সেচ্ছাসেবক লীগের নওগাঁ জেলার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং বর্তমান নওগাঁ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক নাসিম আহম্মেদ এর নাম জড়িয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে ৷
এই অভিযোগ ও প্রকাশিত সংবাদকে মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত বলে উল্লেখ করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন। এর প্রতিবাদে শুক্রবার রাত ৮ট্য় এসব সংগঠনের নেতাকর্মীর একটি বিক্ষোভ মিছিল করে প্রেসক্লাবে আসেন। নেতা কর্মীরা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে তাৎক্ষনিক এক প্রতিবাদ সমাবেশ করে। নেতৃবৃন্দ নাসিম আহম্মেদকে এরকজন সৎ পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তারা বলেছেন দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তাঁর এমন কোন কালিমা নাই। তিনি কোন সরকারি দপ্তরে ঘোরাফেরা করেন না। ঠিকাদরী ও করেননা। কাজেই তিনি কোন টেন্ডার কার্যক্রমের সাথে কোনভাবেই সম্পৃক্ত নাই। তাঁর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যা উদ্দেশ্য প্রনোদিত বলে উল্লেখ করেন।
তাঁরা বিষয়টা সঠিক অনুসন্ধান না করে মনগড়া সংবাদ পরিবেশনেরও নিন্দা জানান। সেই সাথে প্রকৃত তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে পুনরায় বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের আহবান জানান।
নওগাঁ পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হাসানুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস তুহিন রেজা, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুবুল হক কমল, সাধারন সম্পাদক মোঃ রেজাউল করিম, নওগাঁ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ভুক্তভোগী নাসিম আহম্মেদ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাব্বির রহমান রিজভি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক নুর মোহাম্মদ লালসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাসুম চৌধুরী।
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি