রোহিঙ্গাদের অনীহার কারণে প্রত্যাবাসন না হওয়ায় উৎকন্ঠার পাশাপাশি ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। সচেতন মহলের দাবি, প্রত্যাবাসন না হওয়ার পেছনে দায়ী এনজিও সংস্থাগুলো। তাই তাদের নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে প্রত্যাবাসন আরও কঠিন হয়ে পড়বে। তবে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার জানান, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে ।
এছাড়া বেকার হয়ে পড়েছে জেলার লক্ষাধিক শ্রমিক, বেহাল অবস্থা যোগাযোগ ব্যবস্থার, নিম্নমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা ও ছড়াচ্ছে নতুন নতুন রোগ।
একজন বলেন, প্রত্যাবাসনের তারিখ দেয়ার পর, রোহিঙ্গারা প্রত্যাবাসিত হচ্ছে না। এতে আমাদের দিন দিন উৎকণ্ঠা বেড়ে চলছে।
আরেকজন বলেন, রোহিঙ্গারা দিন দিন আরো বেপরোয়া হবে। এখন যে আইনশৃঙ্খলা আছে পরবর্তীতে তা নিয়ন্ত্রণে থাকবে না।
রোহিঙ্গাদের কারণে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে খুন, ডাকাতি, অপহরণ, ধর্ষণ, চুরি, মাদক ও মানবপাচারসহ মামলা হয়েছে ৩৮০টি। তাই এদের নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া আরও কঠিন হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন কক্সবাজার বাঁচাও আন্দোলনের এ নেতা।
আর শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার জানান, মিয়ানমারের ছাড়পত্র পাওয়ার রোহিঙ্গাদের মতামত গ্রহণ অব্যাহত ও দ্রুত প্রত্যাবাসন শুরু করার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. আবুল কালাম বলেন, যাদের নেয়া কথা বলা হচ্ছে, তারা যদি যেতে রাজি থাকে আমরা সব সময় প্রস্তুত আছি।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে পালিয়ে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রয় নিয়েছে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। তাদের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই দুই উপজেলার ৫ লাখের বেশি স্থানীয় বাসিন্দা।