সম্প্রতি আশার বাণী শুনিয়েছেন ইতালির এক চিকিৎসক-গবেষক তুলিও সিমোনসিনি। তাঁর দাবি অনুযায়ী, মাত্র ৫-১০ টাকা মূল্যের নিত্যপ্রয়োজনীয় ঘরোয়া উপাদানের সাহায্যেই ক্যান্সার নিরাময় করা সম্ভব। ক্যান্সারের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়। ক্যান্সারে আক্রান্তকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব। কিন্তু তার জন্য রোগটি প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা খুবই জরুরী। এর পরও রয়েছে চিকিত্সার খরচ। ক্যান্সারের চিকিত্সার বিপুল খরচের কারণে অনেকেই যাথাযথ চিকিত্সার ব্যবস্থা করে উঠতে পারেন না। ব্যয়বহুল ওষুধ এবং ক্যান্সারের সামগ্রিক খরচ অনেকেরই নাগালের বাইরে। যে কারণে ক্যান্সার এখনও পর্যন্ত মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে একটি আতঙ্ক। তবে সম্প্রতি আশার বাণী শুনিয়েছেন ইতালির এক চিকিৎসক-গবেষক তুলিও সিমোনসিনি। তাঁর দাবি অনুযায়ী, মাত্র ৫-১০ টাকা মূল্যের নিত্যপ্রয়োজনীয় ঘরোয়া উপাদানের সাহায্যেই ক্যান্সার নিরাময় করা সম্ভব। সিমোনসিনির মতে, ক্যান্সার এক ধরনের ফুসকুড়ি যা বেকিং সোডার সাহায্যে সহজেই দূর করা যায়। তাঁর লেখা ‘ক্যান্সার ইজ অ্যা ফাঙ্গাস: অ্যা রিভল্যুশন ইন টিউমার থেরাপি’ (Cancer is a Fungus: A Revolution in Tumor Therapy) বইয়েও এ কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। বেকিং সোডার সাহায্যে সিমোনসিনি শত শত রোগীর চিকিৎসা করেছেন বলেও দাবি করেছেন তাঁর এই বইয়ে। বিকল্প ওষুধের (অল্টারনেটিভ মেডিসিন) প্রবক্তা সিমোনসিনির দাবি, এই পদ্ধতির সাহায্যে তিনি সব করম স্টেজের ক্যান্সারের রোগীদের চিকিৎসা করেছেন এবং এই ওষুধ সবার জন্যই একশো ভাগ কার্যকর হয়েছে। তাঁর মতে, ক্যান্সারের চিকিৎসা ক্ষেত্রে যে বেদনাদায়ক বাস্তবতা রয়েছে তা কোনও না কোনও ভাবে অনকোলজি বা ক্যান্সার প্রতিরোধের অব্যর্থ উপায় আবিষ্কারের ব্যর্থতার সঙ্গে যুক্ত। আধুনিক অনকোলজি ক্যান্সার রোগীদের সব প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম— তা প্রমান করতে বধ্যপরিকর সিমোনসিনি। তাঁর মতে, যে কোনও পর্যায়ের ক্যান্সারকে মাত্র ১০ দিনের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে আনা যেতে পারে বেকিং সোডা বা খাবার সোডা ব্যবহার করে। তাঁর মতে, যে ফুসকুরি জাতীয় ছত্রাক (Fungi) সব সময় তার সঙ্গে একটি টিউমার নিয়ে আসে। এটা ভিভো এবং ইনভিট্রো— দু’ধরনের গবেষণায়তেই প্রমাণিত হয়েছে। সিমোনসিনির মতে, ছত্রাক ক্যান্সার তৈরি করে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে এবং তারপর গোটা শরীরকে আক্রমণ করে। ক্যান্সারের প্রতিটি ধরনের পেছনে রয়েছে ক্যানডিডা ফাংগাস। বেশ কয়েকটি গবেষণার মাধ্যমে এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন তিনি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের কোষ দুর্বল আর ক্লান্ত হয়ে অজানা কোষ উৎপাদন শুরু করে। সিমোনসিনির মতে, ক্যান্সার এমন একটি আলসার (ঘা), যেখানে বিকৃত কোষগুলো জমা হয়ে শরীরের ভেতরেই আলাদা একটা বসতি বা উপনিবেশ গড়ে তোলে। স্কিন বা ত্বকের ক্যান্সারের বিরুদ্ধে সবচেয়ে ভাল উপাদান হল বেকিং সোডা এবং টিংচার আয়োডিন। অনেক গবেষণায় এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, বেকিং সোডা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে অন্তঃকোষীয় কার্যসাধনে সক্ষম। সিমোনসিনি জানান, তিনি বিগত ২০ বছরেরও বেশি সময় চিকিৎসা করছেন। এই দীর্ঘ সময়কালে তিনি এমন অনেক ক্যান্সার রোগী পেয়েছেন, যাঁদের সুস্থ হয়ে ওঠার বিষয়ে অধিকাংশ চিকিত্সকই হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি তাঁর চিকিত্সার মাধ্যমে তাঁদের সারিয়ে তুলেছেন। বর্তমানে এঁরা প্রত্যেকেই সুস্থ জীবনে ফিরে গিয়েছেন। তিই ইতালীয় এই চিকিত্সক-গবেষকের মতে, ক্যান্সারকে নির্মূল করার সবচেয়ে ভাল উপায় হল একে বেকিং সোডার সংস্পর্শে নিয়ে আসা।