মোঃলোকমান হোসেন,যশোর প্রতিনিধি:-
মা,,মাগো,আমাদের টাকা থাকলে আমি বেঁচে থাকতাম।আর আমাদের টাকা নেই তাই আমি মরে যাবো। তাই না মা?এ প্রশ্ন একজন গর্ভধারীণী মাকে করছেন ক্যান্সার আক্রান্ত তার একমাত্র ছেলে আসাদুজ্জামান আসাদ(১৪)।গর্ভধারীণী মা তার সন্তানের প্রশ্নের কোন উত্তর না দিলেও মায়ের বুকের ভেতরটা কেমন যেন বারবার ব্যাথায় মোচর দিয়ে উঠছে।মা তার ছেলের অগোচরে গোপনে চোখের পানি ফেলছেন প্রতিনিয়ত। দিনেরাতে সর্বদা মায়ের মনে বাজছে ক্যান্সার আক্রান্ত কিশোর ছেলের সেই কথা।বোবা কান্নায় বারবার বুকের ভিতরটা স্তব্দ হয়ে যাচ্ছে একজন গর্ভধারীণী মায়ের।বলছিলাম যশোর জেলার শার্শা উপজেলার কায়বা ইউনিয়নের রাড়ীপুকুর গ্রামের প্রাইমারী স্কুল পাড়ার হৃতদরিদ্র দিনমজুর বাবলু গাজী ও রিক্তা আক্তারের একমাত্র ছেলে বাগআঁচড়া ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্র বোণ ক্যান্সারে আক্রান্ত আসাদুজ্জামান আসাদ(১৪)এর কথা।৮/৯ মাস আগে স্কুলের ছুটি থাকায় সে বন্ধুদের নিয়ে বাড়ীর পাশে স্কুল মাঠে ক্রিকেট খেলতে যায়।খেলার মধ্যে তার বাম পায়ের হাটুর সামান্য উপরে ক্রিকেট ব্যাটের আঘাত লাগে সামান্য ব্যাথা হলেও বাড়ীতে কাউকে কিছু বলেনি সে।কিন্তু কিছুদিন পর বাম পায়ের হাটু সহ তার উপরের অংশে প্রচন্ড ব্যাথা বেদনা শুরু হলে সে তার মা বাবাকে বিষয়টি জানায়।তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় কিন্তু কোন ঔষধে তেমন কোন ফলাফল না আসায় ঢাকায় চিকিৎসা করানো হলে পরিক্ষা-নীরিক্ষার এক পর্যায়ে বোণ ক্যান্সার ধরা পড়ে।আসাদের হৃতদরিদ্র মা বাবার মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ার মত অবস্থা।এনজিও থেকে ঋন নিয়ে ধারদেনা করে ডাক্তারের পরামর্শে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ভারতের কলকাতার ঠাকুরপুকুর ক্যান্সার হাসপাতালে।ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডাঃ অর্নব গুপ্তা,ডাঃ হাসানুজ্জামান, ডাঃরয় চৌধুরীর তত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছিলো।এর মধ্যে আসাদকে দুটো কেমো দেওয়া হলেও ওখানকার ডাক্তাররা বলেছেন,আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ভেলোরে নিয়ে যেতে হবে।তার জন্য খরচ হবে ১৫ লক্ষ টাকা।মানুষের সাহায্যে,ধারদেনা করে এতদিন চিকিৎসা চললেও হৃতদরিদ্র দিনমজুর পিতামাতার পক্ষে চিকিৎসার টাকা যোগাড় করা আর সম্ভব হচ্ছে না।২কাঠা জমির উপর মাটির এক কামরা ঘর এটাই ওদের একমাত্র সম্বল।কিন্তু সেটার দামও তো ২লক্ষ টাকার বেশী নয়।
দুনিয়ার ভালমন্দ বুঝবার আগেই তাদের প্রিয় সন্তানকে চোখের সামনে তিলেতিলে মারা যেতে দেখছেন গরীব,অসহায় পিতামাতা অথচ ডাক্তাররা বলেছেন তার চিকিৎসা করাতে খরচ হবে ১৫ লক্ষ টাকা।এই টাকা দিয়ে চিকিৎসা দিতে পারলে সে পরিপূর্ণ সুস্থ্য হয়ে উঠবে।আসাদের মায়াভরা মুখটা দেখলে বড় মায়া লাগে।প্রতিবেশীসহ সকলের কাছে আসাদ একজন শান্তশিষ্ট,নম্রভদ্র ছেলে হিসাবে পরিচিত।কিশোর আসাদ বাঁচতে চাই।সে আবারো আর দশজনের মত স্কুলে যেতে চাই।সন্তানের জীবন বাঁচাতে অসহায়,হৃতদরিদ্র পিতামাতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ সমাজের দানশীল ব্যক্তিদের কাছে সাহায্যের জন্য আকুল আবেদন জানিয়েছেন।যাতে তাদের ছেলে আবারও সুস্থ্য হয়ে ফিরতে পারে স্বাভাবিক জীবনে।সাহায্যে পাঠানোর ঠিকানাঃ-সঞ্চয়ী হিসাব নং-২৩০২০০২১২৯১৪৬।সোনালী ব্যাংক বাগআঁচড়া শাখা,যশোর।মোবাইলে কথা বলুন,সাহায্যে পাঠান,বাবলু গাজী(আসাদের পিতা)+৮৮০১৭৯৯-৯৬৭৬৯৩-বিকাশ পার্সোনাল।