পুলিশ ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে ভিয়েতনামফেরত ৮১ জন ও কাতারফেরত ২ জন অভিবাসী শ্রমিককে আদালতে নিয়েছে । এর আগে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর উত্তরার ১৮ নম্বর সেক্টরের একটি বাসায় কোয়ারেন্টিন শেষে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তুরাগ থানার ওসি নূরুল মুত্তাকিন এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
ওসি নূরুল মুত্তাকিন বলেন, তাদের বিরুদ্ধে কি কি অভিযোগ আছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
জানা গেছে, ১৮ আগস্ট দেশে ফেরার আগে এসব শ্রমিকেরা ভিয়েতনামের হ্যানয়ে বাংলাদেশি দূতাবাসের সামনে অবস্থান নেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ভিয়েতনাম সরকার পাচারকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এর আগে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ থেকে ফেরত আসা ২৫৫ জনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়। এসব শ্রমিকদের মুক্তি দাবি করে বাংলাদেশ সিভিল সোসাইটি ফর মাইগ্রেন্টস (বিসিএসএম) এক বিবৃতিতে বলে, এই অভিবাসীদের অধিকাংশই ‘‘অনিবন্ধিত হয়ে পড়া’’ এবং মদ্যপানসহ গুরুতর নয় এমন অভিযোগে দণ্ডপ্রাপ্ত যাদের বেশির ভাগই অর্ধেক বা তার বেশি সাজা ভোগ করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমায় মুক্ত হয়ে দেশে ফিরেছেন। এদের কেউ কেউ সংশ্লিষ্ট দেশে ‘টেলিকম নীতি’ লঙ্ঘনের জন্য শাস্তি ভোগ করেছেন। কেবলমাত্র টক টাইম বিক্রির অপরাধে দণ্ডিত হয়েছিলেন কয়েকজন যা বাংলাদেশে বহুল প্রচলিত চর্চা এবং সাধারণত অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয় না। বন্দীদের কাউকেই প্রত্যর্পণ চুক্তির অধীনে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে বহির্বিশ্বে “বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করায়” এবং ভবিষ্যতে তারা খুন, ডাকাতি, সন্ত্রাসবাদ ও নাশকতা কার্যক্রম সংঘটন করতে পারে এমন সন্দেহে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’