করোনা মহামারি মোকাবিলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ ছাড়াও বাংলাদেশ সরকার একটি বিশেষ প্রকল্প হাতে নিয়েছে । জরুরি ভিত্তিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ‘কোভিড-১৯ রেসপন্স অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অ্যাসিসটেন্স প্রকল্পের’ আওতায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১০ কোটি ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮৫০ কোটি টাকা) দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। বাকি অর্থ সরকারি কোষাগার থেকে দেওয়া হবে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আগামী বুধবার (২৯ এপ্রিল) প্রকল্পটি নিয়ে পরিকল্পনা কমিশনে মূল্যায়ন কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভার পর পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের স্বাক্ষরের পর ‘প্রকল্পের উন্নয়ন প্রজেক্ট প্রস্তাব’ প্রধানমন্ত্রীর অনুমতির জন্য পাঠানো হবে।
প্রসঙ্গত, দেশের চলমান সংকটময় সময়ে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা ছাড়াই প্রকল্পটি অনুমোদন পেতে যাচ্ছে। সূত্র জানায়, প্রকল্পের মাধ্যমে হাসপাতালের জন্য প্রয়োজনীয় পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইক্যুইপমেন্ট (পিপিই), সার্জিক্যাল ব্যাগ, করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য অক্সিজেন দেওয়ার সরঞ্জাম কেনা হবে। প্রকল্পের আওতায় জরুরি সহায়তায় সরকার বিভিন্ন সুরক্ষা সামগ্রী কিনতে পারবে। যার মধ্যে রয়েছে বিশেষ সুরক্ষা পোশাক, এন ৯৫ মাস্ক, সুরক্ষা চশমা, অ্যাপ্রন, থার্মোমিটার ও সংক্রামক বর্জ্য ফেলার ব্যাগ।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে সাড়ে তিন হাজার ডাক্তার, নার্স ও স্টাফকে কোভিড-১৯ বিষয়ে আধুনিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি যে সব হাসপাতালে করোনা মোকাবেলায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, সেখানে প্রয়োজনীয়সংখ্যক ভেন্টিলেটর স্থাপন করা হবে। ১৭ মেডিকেল হাসপাতাল, ১৭ আইসোলেশনসহ ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট ও ১৯টা ল্যাবরেটরিকে আপগ্রেড করা হবে।
জানতে চাইলে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বিশেষ ব্যবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হচ্ছে। প্রকল্পটি অনুমোদনের পর বাস্তবায়িত হলে দেশের করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার পথ সুগম হবে।’ বুধবার জরুরি সভার পরেই পরিকল্পনা মন্ত্রী হয়ে প্রকল্পের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর অফিসে পাঠানো হবে।