ম্যাচের আগেই বার্সা কোচ সুয়ারেজের গোল না পাওয়া নিয়ে বলেছিলেন তিনি তাকে নিয়ে চিন্তিত নন। কোচের কথার যথার্থতা প্রমাণ করেছেন সুয়ারেজ। গতরাতে তার জোড়া গোলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদকে ৩-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করে কোপা দেল রের ফাইনালে উন্নীত হয়ে পঞ্চম শিরোপার কাছে চলে গেল।
অথচ এ ম্যাচে গ্যালারির দর্শক, মাঠের ঘাস… নিজেদের জগৎ, নিজেদের দূর্গ… সবই ছিল রিয়ালের পক্ষে। বার্নাব্যুর পরাজিত ম্যাচে নিজেদের জালেও বল জড়িয়েছে গ্যালাকটিকোরা। মাঠে নামার আগেই এগিয়ে ছিল বার্সেলোনা। কারণ মাঠ রিয়ালের হতে পারে কিন্তু সাফল্যে এগিয়ে ছিল কাতালান ক্লাবটি ।
এদিন বার্সেলোনার প্রাণভোমরা লিওনেল মেসিকে স্বরূপে দেখা যায়নি। তবে আলো ছড়িয়েছেন রিয়ালের ভিনিয়াস জুনিয়র। বার বার বার্সার ডিফেন্সের পরীক্ষা নিয়েছেন। শুধু অভিজ্ঞতার কারণেই তিনি গোল পাননি। তবে রিয়াল গোল না পাওয়ার আরেক কারণ তাদের সামনে প্রাচীর হয়েছিলেন বার্সার জার্মান গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগান।
এল ক্লাসিকোর যে উত্তেজনা দেখা যায় তার কোন কিছুই বার্নাব্যুতে দেখা যায়নি। কারণ আক্রমণ পাল্টা আক্রমণের ম্যাচে প্রথমার্ধে কোনও দলই গোলের দেখা পায়নি। কিন্তু বিরতির পরেই অন্যরূপে হাজির বার্সেলোনা। বিশেষ করে বলতে হবে সুয়ারেজ। এ উরুগুইয়ানের ভেল্কিতেই ২৩ মিনিটের ব্যবধানে তিন গোল আদায় করে নেয় ভালভার্দে বাহিনী।
ম্যাচের ৫০তম মিনিটে ডেম্বেলের কাটব্যাক থেকে কোনাকুনি শটে দুর্দান্ত এক গোল করে বার্সাকে এগিয়ে দেন সুয়ারেজ। ৬৯তম মিনিটে ভারানের আত্মঘাতী গোলে লিড দ্বিগুণ হয় বার্সার। ডান দিক থেকে সুয়ারেজকে লক্ষ্য করে গোলমুখে ডেম্বেলের বাড়ানো বল ঠেকাতে গিয়ে নিজেদের জালে বল পাঠান ফরাসি এই ডিফেন্ডার।
এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো ক্লাসিকোয় একের অধিক গোল করলেন সুয়ারেজ। গত অক্টোবরে লিগে মেসিকে ছাড়াই রিয়ালকে উড়িয়ে দেওয়ার ম্যাচে দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক করেছিলেন ৩২ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। রিয়ালের বিপক্ষে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তার গোল হলো ১১টি।
টানা পঞ্চমবারের মতো শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে থাকা বার্সেলোনার প্রতিপক্ষ হবে ভ্যালেন্সিয়া ও রিয়াল বেতিসের মধ্যে অন্য সেমিফাইনালের বিজয়ী দল। আগামী ২৫ মে হবে ফাইনাল।