২২ বছর পর আবারো সেন্টমার্টিনে ভারী অস্ত্রসহ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে, নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন সিদ্ধান্তে সীমান্তে বাংলাদেশের কৌশলগত অবস্থান সুসংহত হয়েছে।
রোববার দুপুরে কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপে বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়। টেকনাফে বিজিবি-২ এর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর সরকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সেন্টমার্টিনের নিয়মিত চোরাচালান প্রতিরোধ, মানবপাচার রোধ ও সীমান্ত পাহারায় এখন থেকে বিজিবি দায়িত্ব পালন করবে।
২০১৮ সালের অক্টোবরে মিয়ানমারের জনসংখ্যা বিষয়ক ওয়েবসাইটে সেন্টমার্টিনকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করেছিল মিয়ানমার। একই বছরে ৬ অক্টোবর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিয়ানমারের তৎকালীন রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এর প্রতিবাদ জানায়। পরে তারা মানচিত্র থেকে সেন্টমার্টিন অংশ বাদ দেয়।
সেন্টমার্টিন দ্বীপকে মিয়ানমার পর পর ২ বার তাদের মানচিত্রে নিজেদের অংশ দাবি করায় বাড়তি সতর্কতা হিসেবে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করেন, বিজিবি মোতায়েনের মাধ্যমে বাংলাদেশের কৌশলগত অবস্থান সুসংহত হয়েছে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম বলেন, মানবপাচার রোধ করার জন্য শক্তি প্রয়োজন, মাদকের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োজন সেটা করা হচ্ছে। তারপরে যদি মিয়ানমারের কোনো অসঙ্গত আচরণ দৃশ্যমান হয়, তাহলে সেটার বিরুদ্ধে এটা একটি শক্তি।
১৯৯৭ সাল থেকে দায়িত্বে থাকা কোস্টগার্ডও বিজিবির পাশাপাশি সেন্টমার্টিন দ্বীপে অবস্থান করবে।