শারদীয় দুর্গোৎসবের শেষে প্রথম পূর্ণিমা তিথিতে লক্ষ্মীপূজা হয়। এই পূর্ণিমাকে বলা হয় কোজাগরী। সে জন্য এই পূজা কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা নামেও পরিচিত। শাস্ত্রমতে, দেবী লক্ষ্মী ধনসম্পদ তথা ঐশ্বর্যের প্রতীক। উন্নতি, আলো, জ্ঞান, সৌভাগ্য, উর্বরতা, দানশীলতা, সাহস ও সৌন্দর্যের দেবী হিসেবে পরিচিত লক্ষ্মী। তাই লক্ষ্মী ঐশ্বর্যের দেবী।
হিন্দুধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস,পূর্ণিমা রাতে দেবী লক্ষ্মী ধনধান্যে ভরিয়ে দিতে গৃহে আসেন। সে কারণে বাঙালি হিন্দু সনাতনীদের ঘরে ঘরে লক্ষ্মীপূজা হয়। বার্ষিক এই পূজা ছাড়াও প্রতি বৃহস্পতিবার বাঙালি হিন্দু সনাতনী ধর্মাবলম্বী সকলের পরিবারে লক্ষ্মীপূজা হয়।
লক্ষ্মীপূজায় অনেক হিন্দু সনাতনী নারী উপবাসব্রত পালন করেন। পূজা অর্চনার পাশাপাশি ঘরবাড়ির আঙিনায় লক্ষ্মীর পায়ের ছাপের আলপনা আঁকা হবে। সন্ধ্যায় প্রদীপ প্রজ্বলন করা হয়। সাধারণত ঘরোয়া পরিবেশে লক্ষ্মীপূজায় বিভিন্ন ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়।
পঞ্জিকা মতে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর তিথি অনুযায়ী শুরু বুধবার(১৬ই অক্টোবর) সন্ধ্যা ৮ টা ১২ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডে। শেষ হচ্ছে বৃহস্পতিবার (১৭ই অক্টোবর) বিকেল ৫টা ৪৭ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডে। আজ কোজাগরী পুর্ণিমা বা লক্ষ্মী পুর্ণিমা। মৌলভীবাজার জেলার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে এ পূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেকটি ঘরে এখন নারীদের ব্যস্ত সময় পার করছেন আলপনা আঁকা ও বিভিন্ন রীতি নীতি অনুসারে দেবী লক্ষ্মীকে তুষ্ট করতে আলপনার আঁচড়ে সৌন্দর্য বর্ধনে। আর অন্ধকারে আলোর মুখ দেখতে পূজার প্রস্তুতি স্বারমভরে পালনের লক্ষে।
আজ ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | দুপুর ২:২৯ | শনিবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি