মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটি প্রশ্ন রেখেছেন, জনগন কেন বি এন পি‘কে ভোট দিবে! এর পর থেকেই বি এন পি মরিয়া হয়ে আন্দোলনের চেষ্টা চালাচ্ছে। আন্দোলন করার অধিকার সবারই আছে। যে কেউ সরকারের সমালোচনা করতে পারে। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নটি কি আসলেই অযুক্তিক? জনগন সরকারের কাছে দেশের উন্নয়ন প্রত্যাশা করে। বি এন পিও সরকার পরিচালনা করেছে দুই মেয়াদের একটু বেশী। তারা কি জনগনের সেই প্রত্যাশা পুরন করতে পেরেছে? সাফল্য দাবী করে সব সরকারই কিন্তু তথ্য কি বলে? প্রথম মেয়াদে বি এন পি খুব খাড়াপ করেনি। কিন্তু ক্ষমতায় টিকে থাকতে যে ষরযন্ত্রটি করেছে, জনগন তা মেনে নেয়নি। ২০০১ সালের নির্বাচন ছিল সম্পুর্নভাবে পরিকল্পিত এবং নির্বাচনের পরে সংখ্যালুঘুদের উপর যে নির্যাতন হয়েছে তা ছিল অমানবিক। ২০০১ সালে বি এন পি সরকারের অব্যবস্থাপনা আর দুর্নীতি দেশে যে ক্ষতি করেছে তা অন্য কোন সরকারের আমলে হয়নি। সব রেকর্ডই আর্কাইভে রয়ে গেছে। হাওয়া ভবনের নৈরাজ্য ছিল মানুষের মুখে মুখে।
বর্তমান সরকারের ব্যর্থতা কোথায়? নির্বাচন বার বার প্রত্যাখ্যান করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় যাওয়ার পথ পরিস্কার করে দিয়েছে বি এন পি। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও প্রচারনা না চালিয়ে বলেছে নির্বাচন সুষ্ঠু হবেনা। এই প্রচারনায় বিশ্বাস করে বি এন পি সমর্থকরা ভোট কেন্দ্রে যায়নি। নির্বাচনকে ভোট বিহীন প্রমান করতে বি এন পি‘র কৌশলটি ব্যর্থ হয়েছে। সঙ্গতভাবেই ভোট যা পরেছে তা আওয়ামী লীগের বাক্সেই পরেছে বেশী। বিজয়ী হয়েও মির্যা ফখরুল শপথ নেননি। নতুন শ্লোগান তুলেছেন রাতে ভোট হয়েগেছে। যদি প্রমান থাকে তাহলে আদলতে গেলনা কেন বি এন পি?
সত্যটি হল, উন্নয়নের দৃশ্য দেখে বি এন পি‘র ভোটারও নৌকায় ভোট দিয়েছে। ১২ বছরে বি এন পি একটি যৌক্তিক আন্দোলনও জমাতে পারেনি। দপ্তরে বসে সব্ধায় বিবৃতি দেওয়া ছাড়া কোন ভূমিকাও ছিলনা তাদের। নিস্কৃয় দলটির প্রধান শক্তি এখন জামাত। জামাতের অর্থে লালিত বি এন পি এখন জামাতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে নেমেছে। জামাতের অনুদান বন্ধ হলে অফিস ভাড়াও দিতে পারবেনা বি এন পি। লোকবালও সাপ্লাই করছে জামাত। বিষয়টি নিয়ে বি এন পি‘তেও মতবিরোধ আছে। কিন্তু জামাত চায় সরকারকে বেকায়দায় ফেলে পদত্যেগে বাধ্য করাতে। সারাদেশে অচল অবস্থা সৃষ্টি করতে। বি এন পি তাদের আজ্ঞাবাহ।
দেশের সাধারন মানুষ আওয়ামী লীগের অনেক নেতা মন্ত্রীর প্রতিই এখন ক্ষুদ্ধ। অনেকেই নির্বাচনে পরাজিত হবে হয়ত কিন্তু, প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শেখ হাসিনাকেই চায় সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগন। কারনটি ব্যক্তিগত নয়, শেখ হাসিনা দেশকে বদলে দিয়েছে। দক্ষিন বঙ্গের মানূষ এখন উন্নয়নের আলো দেখছে।তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে উত্তর বঙ্গও সামিল হবে উন্নয়নে। এটাই শেখ হাসিনার শক্তি। নিরপেক্ষ নির্বাচন কখনোই হয়নি। এটা শুধু বাংলাদেশেই নয় প্রতিবেশী ভারতেও দেখা গেছে। প্রচুর সংঘাত হয়েছে, অভিযোগ উঠেছে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়েও।
আমেরিকার নির্বাচনও প্রভাব মুক্ত প্রমান করতে পারেনি। বাইডেনকে শেষ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে সরকারী ঘোষনা পেতে। রাশিয়াতেও বিরোধী দলের নেতা জেল খেটেছে। তত্বাবধায়ক সরকারও যদি বি এন পি‘র পছন্দের না হয় তখন তা নিয়েও বিরোধিতা করবে বি এন পি। কিন্তু বিভিন্ন জড়িপের রিপোর্ট হল বি এন পি জনসমর্থনে বহু পিছিয়ে। এসব রিপোর্ট বি এন পি নেতারা দেখাননা তা নয়। তাহলে এই আন্দোলনের চেষ্টা কেন?
আজিজুর রহমান প্রিন্স, কলামিস্ট, টরন্টো, কানাডা।