সাকিব আল হাসান, রৌমারী (কুড়িগ্রাম) : দীর্ঘ ১৭ বছর পর আসছে কুড়িগ্রাম জেলা যুবলীগের সম্মেলন। সম্মেলনকে ঘিরে পদপ্রত্যাশী নেতারা ইতোমধ্যে কেন্দ্রে লবিং তদবির শুরু করেছেন। শহরজুড়ে সাঁটিয়েছেন শুভেচ্ছা পোস্টারও। কুড়িগ্রাম জেলা যুবলীগের সম্মেলন ঘিরে শীর্ষ দুই পদে আসতে তৎপর যুবলীগের বর্তমান ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা। স্থানীয় ও কেন্দ্রের নেতাদের কাছে নিজেদের আত্ম সামাজিক পরিচয় তুলে ধরে নিজেদেরকে যুবলীগের যোগ্য প্রার্থী হিসাবে জাহির করতে জোরে সোরে প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে। কুড়িগ্রাম জেলা যুবলীগের সভাপতি পদে সিভি জমা দিয়েছেন বর্তমান জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ও সাবেক কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সাঃ সম্পাদক ও সভাপতি আনিছুর রহমান খন্দকার চাঁদ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে জনপ্রিয়তায় শীর্ষে রয়েছেন তিনি। বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, তিনি দীর্ঘদিন ধরে তৃণমুল পর্যায়ের দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে সক্রিয় রাজনীতি করে আসছেন। তার রাজনৈতিক জীবনে কুড়িগ্রামের একাধিক শিক্ষার্থী ও অসহায়দের সহযোগিতা করে তিনি শহরবাসীর কাছে বেশ সুনাম অর্জন করেছেন। সদালাপি ও মিষ্টভাষী আনিছুর রহমান খন্দকার চাঁদ কখনো নিজের স্বার্থের কথা ভাবেননি। দলের জন্য তার দীর্ঘ জীবনে অকাতরে বিলিয়ে দিয়েছেন সব কিছু। তিনি ১৯৯১ সাল থেকে ২০০০ পর্যন্ত কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন, তিনি ১৯৯৪ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন, তিনি কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের (২০০০) সালে যুগ্ম আহবায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন, ২০০০ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৪ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি আসন্ন যুবলীগের সম্মেলনে সভাপতি পদে নিজের নামটি অন্তর্ভুক্ত করতে ইচ্ছা পোষন করেছেন। তার ইচ্ছা কুড়িগ্রাম জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে তৃণমূল যুবলীগকে নিয়ে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করা।
এ বিষয়ে মাঠ পর্যায়ের যুবলীগের নেতা-কর্মীরা সাংবাদিককে জানান, আমরা এবার আনিছুর রহমান খন্দকার চাঁদ ভাইকে কুড়িগ্রাম জেলার যুবলীগের সভাপতি হিসাবে দেখতে চাই। এ জন্য তার প্রতি সব সময় আমাদের দোয়া ও আশির্বাদ রয়েছে। তিনি যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত হলে নেতা-কর্মীদের মাঝে যে টানাপোড়েন আছে তা শেষ হয়ে যাবে। কুড়িগ্রাম জেলা যুবলীগ চাঙ্গা হবে। সাধারণ যুবলীগ কর্মীরা প্রাণ খুলে কথা বলতে পাবে সভাপতির সাথে। বর্তমান দায়িত্ব প্রাপ্ত যুবলীগের নেতাদের সাথে যে কর্মীদের দূরত্ব আছে সেটা শেষ হয়ে যাবে। সেই সাথে বিভিন্ন থানা-পৌর ও ইউনিয়নের অবহেলিত নেতাকর্মীরা মনোবল ফিরে পাবে।
আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করতে তৃণমুল যুবলীগের নেতাকর্মীদের মাঠে ফেরাতে আনিছুর রহমান খন্দকার চাঁদের বিকল্প নেই। নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক যুবলীগ নেতা জানান, যেহেতু আনিছুর রহমান খন্দকার চাঁদ দীর্ঘদিন থেকে তৃণমূলে কাজ করে আসছেন। তাছাড়া মাঠ পর্যায়ে যুবলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে মিটিং মিছিলে সরব উপস্থিতি দেখিয়েছে, দলের দূর্দিনে দলের সাথে ছিলো এবং সে ত্যাগী নেতা। তাই যুবলীগের সভাপতি হওয়ার দৌরাত্ম্যে এগিয়ে আছেন আনিছুর রহমান খন্দকার চাঁদ। আমরা সাধারণ কর্মীরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, গণতন্ত্রের মানসকন্যা, জননেত্রী শেখ হাসিনা ও যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস ও সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খানের প্রতি আকুল আবেদন করছি। কুড়িগ্রাম জেলা যুবলীগের সভাপতি হওয়ার একমাত্র দাবিদার হলেন আমাদের আনিছুর রহমান খন্দকার চাঁদ ভাই। সে ছাড়া বিকল্প কোন প্রার্থী নেই। তিনি একমাত্র যৌগ্য প্রার্থী।
কুড়িগ্রাম জেলা যুবলীগের সভাপতি হিসেবে আগ্রহী আনিছুর রহমান খন্দকার চাঁদ জানান, দীর্ঘদিন ধরে সম্মেলন না হওয়ায় কর্মীরা ঝিমিয়ে পড়েছেন। শুণ্যতায় ভুগছেন। তাদের জায়গা প্রয়োজন। আমি সভাপতি হিসেবে আগ্রহ প্রকাশ করেছি। যদি দায়িত্ব পাই তাহলে সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করবো,ইনশাল্লাহ।