অলিউর রহমান নয়ন, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ছেলে আব্দুল জলিল (২৭) এর হাতে নৃশংস ভাবে খুন হয়েছেন বাবা পয়ার উদ্দিন (৫৭)। এ সময় বাঁচাতে গিয়ে মা জুলেখা বেগমও (৪৫) মারাত্বক আহত হয়েছেন। গত রবিবার ৩ এপ্রিল উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের খিতাবখা সলিমবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গত সোমবার দুপুরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাবা পয়ার উদ্দিন মারা যান। ঘাতক ছেলে আব্দুল জলিলকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মামুন উর রশীদ জানান, ৩ মাস পূর্বে আব্দুল জলিলের ৩য় স্ত্রী তাকে তালাক দেন এবং তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও যৌতুক মামলা দায়ের করেন। আসামী হওয়ায় এই মামলায় পয়ার উদ্দিন ও তার স্ত্রী জুলেখা বেগম জামিনে রয়েছেন। আর ছেলে আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে ঝুলছে গ্রেফতারী পরোয়ানা। এ অবস্থায় তৃতীয় স্ত্রীর সাথে দফারফার চেষ্টা করছিলেন আব্দুল জলিল। এজন্য পিতা পয়ার উদ্দিনকে টাকার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন তিনি। এ নিয়ে রবিবার সন্ধ্যায় পিতামাতার সাথে তার বাক-বিতন্ডতা হয়। এক পর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পিতাকে আঘাত করে জলিল। ধারালো অস্ত্রের এলোপাথারী আঘাতে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন পিতা পয়ার উদ্দিন। স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে স্ত্রী জুলেখা বেগমও আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরে রাত ৯টার দিকে গুরুতর আহত পয়ার উদ্দিনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এছাড়াও মাথায় ও বাম হাতে আঘাতপ্রাপ্ত জুলেখা বেগমকেও চিকিৎসা দেয়া হয়। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে পয়ার উদ্দিন মারা যান।
রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ রাজু সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রাতেই নিহতের স্ত্রী জুলেখা খাতুন বাদী হয়ে রাজারহাট থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। সোমবার রাতে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাঁকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।