সিলেট থেকে ঢাকায় যাওয়ার জন্য এক কলেজ শিক্ষার্থী কাউন্টারে আন্তঃনগর পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট না পেয়ে কালোবাজারে থেকে কিনেন টিকিট। টিকিটে যাত্রীর নাম লেখা ছিল, ‘হিলারি ক্লিনটন’। ঘটনাটি গত শনিবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া জংশন রেলস্টেশনে ঘটে। ওই যাত্রীর বাড়ি পার্শ্ববর্তীৎ উপজেলা জুড়ির গোয়ালবাড়ী এলাকায়।
নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে ওই কলেজছাত্র বলেন, জরুরি কাজে তার ঢাকায় যেতে হয়। অনলাইনে ও স্টেশনের কাউন্টারে টিকিট না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েন। পরে স্টেশনে এক কালোবাজারির কাছ থেকে অতিরিক্ত মূল্যে টিকিট কিনেন। টিকিটটি অনলাইনে কাটা- টিকিটে যাত্রীর নাম প্রথমে নজরে পড়েনি। পরে দেখেন, তাতে ‘হিলারি ক্লিনটন’ লেখা। এতে তিনি বিস্মিত হয়ে যান।
জানা গেছে, অনলাইনে আইডি খুলতে হলে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) নম্বর, মুঠোফোনের নম্বর ও ইমেইল ঠিকানা লাগে। নিয়ম অনুযায়ী, অনলাইনে একটি আইডি থেকে সপ্তাহে চারবারের বেশি টিকিট কাটা যায় না। তবে, কালোবাজারিরা বিভিন্ন মুঠোফোন অপারেটরের একাধিক সিম এ কাজে ব্যবহার করে থাকেন। তারা এসব সিমের মাধ্যমে আইডি খুলেন। এ ক্ষেত্রে একই এনআইডি অথবা একাধিক এনআইডিও ব্যবহার করেন।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
ভুয়া নামে খোলা আইডির বিপরীতে টিকিট কেটে চড়া মূল্যে বিক্রি করেন। অনলাইনের সফটওয়্যারে এনআইডি যাচাইয়ের (ভেরিফাই) সুযোগ নেই। এ কারণে কালোবাজারিরা এ সুযোগ কাজে লাগান। তাদের এ অপতৎপরতার কারণে অনলাইনে অনেকেই টিকিট পান না।
রেলওয়ের কতৃপক্ষের অনলাইনের সফটওয়্যারের সঙ্গে এনআইডির সার্ভারের লিংক থাকলে সহজেই এ অপতৎপরতা ঠেকানো সম্ভব জানিয়ে সিলেট-আখাউড়া রেলপথে দায়িত্বে থাকা রেলওয়ের পরিবহন পরিদর্শক তৌফিকুল আজীম বলেন, লিংক থাকলে সহজেই টিকিট ক্রেতার নাম-ঠিকানা যাচাই করা সম্ভব হবে।
ডিবিএন/এসডিআর/মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান