শাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া(দেবিদ্বার,কুমিল্লা প্রতিনিধি): কুমিল্লার দেবিদ্বার থানায় নবাগত ওসি হিসাবে মো.আরিফুর রহমান যোগদান করেছেন। যোগদানের পর বুধবার (১০ মার্চ) দুপুরে নবাগত ওসি মো. আরিফুর রহমানকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মেজবাহ উদ্দিন, সেকেন্ড অফিসার মো. ইকতিয়ার মিয়াসহ থানার সকল এসআই, এএসআইসহ পুলিশ সদস্যরা।
ওসি আরিফুর রহমান এরপূর্বে নোয়াখালির কোম্পানীগঞ্জের দীর্ঘদিন সফলতার সাথে অফিসার ইনচার্জ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। সেখানে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি শ্রেষ্ঠ ওসি ক্যাটাগরিতে একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি ২০০০ সালে ক্যাডেট সাব ইন্সপেক্টার হিসেবে পুলিশে যোগদান করে এক বছরের মৌলিক প্রশিক্ষণ ও ২ বৎসরের শিক্ষানিবেশ কোর্স শেষ করেন। পরে তিনি চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ (সিএমপি), বরিশাল মেট্টোপলিটন পুলিশ (বিএমপি), ঢাকায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারীসহ ফটিকছড়ি এবং সর্বশেষ নোয়াখালি জেলার কোম্পানীগঞ্জ থানায় অফিসার ইনচার্জ পদে কর্মরত ছিলেন।
জানা গেছে, ওসি মো. আরিফুর রহমান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি বিভাগে বি.এস.এস অর্নাস এম.এস.এস ও পুলিশে যোগদানের পর এলএলবি পাশ করেন। তিনি ছাত্রজীবনে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক সংগঠনে কাজ করেছেন। তিনি কসবার কোল্লাপাথরে ঐতিহাসিক শহীদ সমাধিস্থনের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে ‘শহীদ স্মৃতি যুব সংঘ’ প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ছাত্রজীবনে মেধাবী এ পুলিশ কর্মকর্তা সততা ও দায়িত্ব পালনে কৃতিত্বের জন্য বাংলাদেশ পুলিশ থেকে জাতি সংঘে মিশনে গিয়ে শান্তি পদক পান। ওসি মো.আরিফুর রহমান কসবা উপজেলার সদর ইউনিয়নের এক সম্ভান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
সূত্রে আরও জানা গেছে, পূর্বের কর্মস্থল নোয়াখালির কোম্পানীগঞ্জ থানায় এলাকায় করোনা মহামারি পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের নিদের্শনা বাস্তবায়ন করার পাশাপাশি তিনি নিজস্ব অর্থায়নে কর্মহীন হতদরিদ্র মানুষের বাড়ি বাড়ি খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেয়াসহ করোনা প্রকোপ থেকে বাঁচতে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করেন। এছাড়াও তিনি মানুষকে ঘরে রাখতে জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিভিন্ন গুজব প্রতিরোধেও ভূমিকা পালন করেছেন।
ওসি মো. আরিফুর রহমান বলেন, দেবিদ্বার থানায় সকল শ্রেণী পেশার মানুষের জন্য ওপেন। যে কেউ এসে সমস্যার কথা বলতে পারবেন। এখানে কে রিক্সাচালক, কে কৃষক কে ধনী তা জানব না। প্রতিটি নাগরিকই থানার সকল সেবার আওয়াতায় আসবেন।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি গ্রামে যারা মাদকের সাথে সম্পৃক্ত তাদের তালিকা করে ধরা হবে, কেউ বাঁচতে পারবে না, তারা যত শক্তিশালীই হোক। দেবিদ্বারের আইন শৃংখলা স্বাভাবিক রাখার জন্য যেকোন পরিস্থিতিতে আমি কঠোর হবো। অপরাধ করে কেউ পার পাবে না। সর্বপরি দেবিদ্বারকে শান্তির দেবিদ্বার গড়তে সচেতন মহলের সহযোগিতায় চাই।