মোঃ খোরশেদ আলম, কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধিঃ কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা সড়কের কুমিল্লা অংশের ৮ কিলোমিটার এলাকায় রয়েছে ৮টি বেইলি ব্রিজ। ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও এই আট বেইলি ব্রিজে চলতে হচ্ছে প্রতিদিন। এর মধ্যে গত শুক্রবার (১৩ মে) বিকালে কড়বাড়ি ব্রিজ ভেঙে ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা খালে পড়ে ৬ জন আহত হন। ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় মুরাদনগর-নবীনগর সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। বাকি ৭টি ব্রিজও রয়েছে ঝুঁকিতে।
এগুলো হচ্ছে- কাজী নজরুলের শশুরবাড়ি দৌলতপুর নজরুল গেইট, সীমানারপাড়, মুকলিশপুর, কোড়েরপাড়, মেটংঘর ও পীরকাশিমপুর গ্রামে দুইটি ব্রিজ। ব্রিজগুলোতে সারা বছরই ঘটছে দুর্ঘটনা। কখনো পাটাতন সরে ফাঁকা জায়গায় চাকা ঢুকে গাড়ি উল্টে যায়, কখনো বাইসাইকেল, মোটর সাইকেলের চাকা আটকে যায় কিংবা ঢুকে পড়ে মানুষের পা।
যাত্রী ও চালকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ব্রিজগুলো অনেক দিন যাবত জরাজীর্ণ ও নড়বড়ে। বৃষ্টি হলে হয়ে উঠে আরো ভয়ঙ্কর। ট্রাক্টর, সিএনজিচালিত অটোরিকশা পড়ে গিয়ে অহরহ দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে মানুষ। বেশি ওজনের ট্রাক যাওয়ার সময় পাটাতন দেবে গিয়ে কাত হয়ে উল্টে পড়ে। পুরানো এই ব্রিজগুলোর স্থানে নতুন পাকা ব্রিজ স্থাপনের দাবি জানান তারা।
মুরাদনগর হায়দরাবাদ হাজী ইয়াকুব আলী ভুইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাইদুজ্জামান বাবু বলেন, তিনি এই সড়কে চলাচল করেন। ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় প্রায়ই চলাচলে দুর্ভোগে পড়েন। শুক্রবার কড়ইবাড়ি ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় তিনি ৮ কিলোমিটার ঘুরে স্কুলে যাতায়াত করছেন।
স্থানীয় বাঙ্গরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন বলেন, এই সড়কের বেইলি ব্রিজগুলো ঝুঁকিতে রয়েছে। বিশেষ করে মকলিশপুর ব্রিজটির অবস্থা বেশি খারাপ। ব্রিজটিতে কাঠের টুকরা দিয়ে ঠেস দেওয়া হয়েছে। ভেঙে গেছে পাশের পাটাতন। যেকোন মুহূর্তে এটি ভেঙে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা বলেন, কোম্পানীগঞ্জ-নবীনগর রুটের বেইলি ব্রিজগুলোর স্থানে পাকা ব্রিজ নির্মাণের জন্য আমরা আগামী মাসে প্রস্তাবনা জমা দেবো। পর্যায়ক্রমে বেইলি ব্রিজগুলো সরিয়ে ফেলা হবে।
তিনি আরো বলেন, নির্ধারিত ওজন নিয়ে পরিবহনগুলো নিয়মমাফিক পারাপার হলে মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হয়না। এ বিষয়ে সবার সচেতনতা ও সহযোগিতা প্রয়োজন।