রংপুরে প্রধানমন্ত্রীর বিভাগীয় মহা সমাবেশে কুড়িগ্রাম থেকে যোগ দিয়েছেন প্রায় ৪০ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মী ও সমর্থক। প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দেয়ার জন্য অনেক আগে থেকেই ব্যাপক প্রচার প্রচারনা ও কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে জেলার ৯ উপজেলা ৩ পৌরসভা ও ৭৩ ইউনিয়ন থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী রংপুরের মহা সমাবেশে যোগ দিয়েছেন।
কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগ সুত্রে জানা গেছে, এই জনসভাকে সফল করার জন্য কুড়িগ্রাম থেকে নেতাকর্মী যাতায়াতের জন্য ২০০ টি মিনিবাস, ১০০ টি কোচ, ১০০ টি ট্রাক, ৫ শতাধিক প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস, সিএনজি-অটো প্রায় ১ হাজার, ৩ হাজার মোটরসাইকেল ও দুটি ট্রেন যোগে নেতাকর্মীরা মহা সমাবেশে যোগ দিয়েছেন । এছাড়াও কয়েক হাজার নেতাকর্মী আগে ভাগেই বিভিন্ন উপায়ে রংপুরে পৌঁছেছেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য খ ম আতাউর রহমান বিপ্লব বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করতে কুড়িগ্রামের নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত। বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে আনন্দঘন পরিবেশে তারা মহা সমাবেশে যোগ দিয়েছেন ।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে কিছু চাইতে হয় না, তবুও মেডিকেল কলেজ স্থাপন, কর্মসংস্থানের জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, ছোট ছোট শিল্প কলকারখানা স্থাপনের দাবি কুড়িগ্রাম বাসির।
কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক শ্যামল ভৌমিক বলেন, দীর্ঘ একযুগ পর রংপুরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এসেছেন। তাই নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে মহা সমাবেশে যোগ দিয়েছে। তিনি কুড়িগ্রাম তথা রংপুর বিভাগের যে উন্নয়ন করেছেন, তাঁর কাছে আর আমাদের তেমন কোন চাওয়া পাওয়া নেই। রংপুর অঞ্চলে কি করতে হবে তা তাঁর ভালোভাবে জানা রয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করতে ৫০ হাজার নেতাকর্মী কুড়িগ্রাম থেকে রংপুর গেছে। ৪০ হাজার নেতাকর্মীর যাতায়াতের জন্য যানবাহন নিশ্চিত করা হয়েছে। আর বাকিরা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে যোগ দিয়েছে। যার প্রেক্ষিতে মহা সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিনত হয়েছে।
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি