একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাতে কালো টাকা ছড়িয়ে বিএনপি-জামায়াত-ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে না পারে সেজন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) হস্তক্ষেপ চেয়েছে আওয়ামী লীগ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নির্বাচন ভবনে কমিশন সচিবের সঙ্গে দেখা করে দলের নির্বাচন আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির একটি প্রতিনিধিদল এ হস্তক্ষেপ কামনা করে। পরে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিনিধিদলের নেতা মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, কালো টাকার ব্যবহার সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায়। বিএনপি-জামায়াত জোট নির্বাচন সামনে রেখে কালো টাকা ছড়ানোর পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ও মহাজোট নেতাকর্মীদের ওপর সশস্ত্র হামলাও করছে। আমাদের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করছে, মিছিলে হামলা চালাচ্ছে। আক্তারুজ্জামান বলেন, এ ধরনের সহিংসতা করে উল্টো ইসিতে এসে প্রতিদিন তারা অভিযোগও করছে। অথচ সত্য হচ্ছে, বিএনপি-জামায়াত জোট দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা করছে। এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপরও হামলা চালাচ্ছে। বিষয়গুলো আমরা কমিশনের কাছে উপস্থাপন করেছি। কালো টাকা ছড়ানো ও আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের ওপর হামলা করার বিষয়ে আক্তারুজ্জামান বলেন, ঢাকা-৮ আসনের মির্জা আব্বাসের দুই কর্মী কালো টাকা ছড়াতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছে। আমরা এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই। মৌলভীবাজারে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর একজন পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা করেছেন। আজ সকালেই সিলেটে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এম এ মোমেনের নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমানের নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন দিয়েছে সশস্ত্র ক্যাডাররা। সীতাকুণ্ডে পেট্রলবোমা হামলায় দগ্ধ হয়ে আওয়ামী লীগের চারজন কর্মী এখন হাসপাতালে। এ ছাড়া চাঁদপুরে ডা. দীপু মনির বাড়িতেও বিএনপি হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৩০ জন। ইসি সচিবের সাথে দেখা করে আমরা এ সব ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপ দাবি করেছি। আক্তারুজ্জামান বলেন, এর বাইরে নির্বাচনের দিন যাতে সাংবাদিকরা বিনা বাধায় চলাচল করতে পারে তা নিশ্চিত করতে ইসিকে অনুরোধ করেছি। তারা বিষয়টি দেখা হবে বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছে। এক প্রশ্নের জবাবে আক্তারুজ্জামান বলেন, নির্বাচনের আর পাঁচদিন বাকি। এখন পেট্রলবোমা, গান পাউডার, আগুন সন্ত্রাস শুরু হওয়ায় আমাদের ২০১৪ সালের কথা মনে পড়ছে। ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি জোট নেতারা একবার বলছেন, ভোট করব, মাঠ ছেড়ে যাব না। একবার কমিশনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন, আবার অসহযোগিতার প্রশ্ন তুলছেন। তারা আসলে বিচলিত, অস্থির। নির্বাচনকে বানচাল করার, ক্ষতিগ্রস্ত করতে তারা অস্থিরতায় ভুগছে বলে তাদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণিত হচ্ছে। ফোন নম্বর ক্লোনিং করে একটি চক্র বিভ্রান্তি ছড়াতে পারেন এমন আশঙ্কা জানিয়ে প্রতিনিধি দলের সদস্য ও আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ফোন কলের জালিয়াতি করে নম্বর ক্লোন করে, ভুল তথ্য যেন না যায় এ বিষয়েও নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে। যাতে করে কোনো নির্দেশনা যদি আসে, নম্বর সঠিক কি না, ক্লোন করা হয়েছে কি না, তা যেন তারা নিশ্চিত হয়ে ব্যবস্থা নেয়।