কাতার বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর ম্যাচে মাঠে নামার আগে স্পেন কোচ লুইস এনরিকে পেনাল্টিতে নিজেদের দুর্বলতার কথা জানিয়েছিলেন। এজন্য নাকি তার শিষ্যদের নাকি অন্তত ১০০০ পেনাল্টি প্রাকটিস করিয়েছিলেন। কিন্তু উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কোর সঙ্গে পেনাল্টি শুটআউটে হেরে চলতি কাতার বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল ২০১০ সালের চ্যাম্পিয়ন স্পেন।
✪ আরও পড়ুন: কাতার বিশ্বকাপ: স্পেন-মরক্কো ম্যাচে নির্ধারিত সময়ে গোলশূন্য
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) দোহার এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে স্পেন-মরক্কো ম্যাচটি নির্ধারিত সময়ের খেলা গোলশূন্য থাকে। অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচ গড়ালেও কোন গোল আদায় করতে পারেনি দুই দলের কেউই। পরে টাইব্রেকার শুরু হলে মরক্কোর কাছে ৩-০ ব্যবধানে হেরে কান্নার বিদায় হয়েছে স্প্যানিশদের।
বিশ্বকাপের মতো সব ধরনের বড় টুর্নামেন্টের নকআউট পর্বের ম্যাচগুলোতে স্পেন যেন পেনাল্টিতে বরাবরই অসহায় আত্মসমর্পণ করে। গত ২০২০ ইউরোর সেমিফাইনালে ইতালির কাছে পেনাটি শুটআউটে হেরে বিদায় নিয়েছিল স্পেন। তার আগে ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপেও স্বাগতিকদের কাছে দ্বিতীয় রাউন্ডে পেনাল্টি শুটআউটে ৪-৩ ব্যবধানে হেরে বিদায় নিয়েছিল তারা। এবারও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলো।
✪ আরও পড়ুন: বিশ্বমঞ্চে ব্রাজিলের নতুন বিশ্বরেকর্ড
মরক্কোর বিপক্ষে ম্যাচের আগে স্প্যানিশ কোচ এনরিকে বলেছিলেন, ‘আমরা নিজেদের কাজটা ভালোই করেছি। এক বছর আগে সবাইকে জানিয়েছি আমাদের অন্তত ১০০০ পেনাল্টি প্রাকটিস করতে হবে। পেনাল্টিতে নার্ভ ধরে রাখা কষ্ট। আমরা প্রত্যেকবার প্রাকটিস শেষ করে পেনাল্টির প্রাকটিস করেছি।’
কিন্তু অতীতের সেই কালো ইতিহাসই যেন ধরে রাখলো পাবলো সারবিয়া-কার্লস সোলার-সার্জিও বুসকেটসরা। এই তিন ফুটবলার মরক্কোর গোলকিপারের কাছে নিজেদের অসহায়ত্বের প্রমাণ দিয়েছেন। ফলে অনুশীলনে ঘাম ঝরালেও মাঠে তার প্রতিফলন না হলে যে অনুশীলন যে বৃথা ছিল সেটিরই প্রমাণ করলেন স্পেনের খেলোয়াড়রা।
✪ আরও পড়ুন: নাইন সেভেন ফোর: ব্রাজিল ম্যাচের পর ভেঙে ফেলা হবে যে স্টেডিয়াম