নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার উব্দাখালী নদীর পানি পাহাড়ি ঢলে ফুলে ফেঁপে উঠেছে। আজ মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুর ২টা পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী ৫৯ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এ নদীর পানি। এতে কলমাকান্দা, বারহাট্টা, মোহনগঞ্জ ও মদন উপজেলায় অন্তত ৮৫টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে সোমবার মধ্যরাত থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় কিছুটা স্বস্তিতে উপজেলাবাসী। আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মো. মানুন জানান, সোমবার সকাল ৯টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত চব্বিশ ঘণ্টায় ১৭৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
অন্যদিকে মঙ্গলবার সকাল নয়টা পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী সোমেশ্বরী, কংশ ও ধনু নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে দুর্গাপুরের সোমেশ্বরী নদীর পানি হ্রাস হলেও কলমাকান্দায় উব্দাখালী নদীর পানি বৃদ্ধির দিকে।
স্থানীয়রা জানান, বৃষ্টি থেমে গেলে পাহাড়ি ঢলের পানি নেমে যায়। বৃষ্টির সঙ্গে এই পাহাড়ি অঞ্চলের পানি ওঠা নামা করে।
জানা গেছে, গত ১০ দিনের ব্যবধানে কলমাকান্দার উব্দাখালী নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল আবারো প্লাবিত হয়েছে সোমবার থেকে। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত হাওরের সাবমার্সিবল (ডুবন্ত) সড়কগুলোর বিভিন্ন স্থান ডুবে পানির নিচে। উপজেলা সদরসহ এসব নিচু এলাকার বাড়ি ঘরের আশপাশের সড়কসহ উঠানে পানি থাকায় চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নেত্রকোনা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী সারওয়ার জাহান জানান, আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় নেত্রকোনার দুর্গাপুর ও জারিয়া ঝাঞ্জাইল রেলস্টেশন এলাকায় ১০৪ মিলিমিটার হয়। একই সময়ে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ৩৮০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া সিলেট ও সুনামগঞ্জে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। এতে জেলার সব নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে কলমাকান্দায় উব্দাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, কংস, সোমেশ্বরী, ধনুসহ অন্য বড় নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা নেই বলে জানান তিনি।
আজ ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | দুপুর ১২:৩৭ | শুক্রবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি