বরিশালে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন দুই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এদের একজন পুরুষ ও একজন নারী। তাদের উভয়ের বয়সই ৪৫ বছর।
আজ রোববার (২৯ মার্চ) সকাল ৭টা ২০ মিনিটে পুরুষ রোগী মারা যান। আর শনিবার (২৮ মার্চ) রাত ১২টার দিকে ওই নারী মারা যান।
শেবাচিমের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
শেবাচিমের পরিচালক বলেন, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রেফার করার পর শনিবার বিকালে ওই পুরুষ রোগীকে তাদের এখানে ভর্তি করেন। এরপর রোগীকে প্রথমে মেডিসিন ইউনিটে এবং সেখান থেকে গত রাতেই করোনা ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়।
রোববার সকালে তার মৃত্যু হয়। এই রোগীর মৃত্যুর পর বিষয়টি আইইডিসিআরকে জানানো হয়েছে। তাদের নির্দেশনা অনুসারে মৃতদেহ সমাহিত করার ব্যবস্থা করা হবে।
ওই ব্যক্তির শ্বশুর জানান, তার জামাই দীর্ঘদিন ধরে অ্যাজমাজনিত শ্বাসকষ্টে ভুগছিল।
পরিচালক ডা. বাকির হোসেন বলেন, ‘শনিবার রাত ১২ টার দিকে করোনা ওয়ার্ডে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এক নারী মারা যান। তার লাশ স্বজনরা নিয়ে গেছে। কারণ তার মৃত্যু হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে হওয়ায় হাসপাতালের পক্ষ থেকে লাশ বুঝিয়ে দেওয়া হয়। শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তাকে করলে চিকিৎসকরা করোনা ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। সেখানে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি মারা যান।’
তিনি আরও বলেন, এই রোগী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে তিন বরিশাল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যান। এরপর বাড়িতে গিয়ে তিনি জ্বর, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হন। শনিবার তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। তার ডায়বেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ ছিল।
রোববার পর্যন্ত শেবাচিম হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৪ জন চিকিৎসাধীন আছেন। তবে তারা কেউ করোনায় আক্রান্ত কিনা তা নিশ্চিত হতে পারেননি কর্তৃপক্ষ।
বরিশাল বিভাগে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ২৮০০ জন। সেখান থেকে বাড়ি ফিরেছেন ১৩৪৭ জন। আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় মারা গেছেন দু’জন। সুত্রঃ শীর্ষ।