চীন-ইরানের পর এশিয়ার মধ্যে এবার ভারতে দিন দিন করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এতে চরম উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছেন ভারতীয়রা। পর্যটকদের মাধ্যমেই ভারতে দ্রুত করোনা ছড়িয়ে পড়ছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। এ অবস্থায় দিল্লির বেশ কয়েকটি স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে হোলির অনুষ্ঠান বাতিল করেছেন রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
৮০টির বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-নাইনটিন। চীনের পর এশিয়ার দেশ ইরানে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতেও দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনা। এতে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে সাধারণ ভারতীয়দের।
তারা জানান, দিন দিন পরিস্থিতি খুব খারাপ হচ্ছে। আমরা সবাই ভয়ের মধ্যে আছি। তাজমহল, লালকেল্লা দেখতে প্রচুর বিদেশি পর্যটক ভারতে আসেন, তাদের মাধ্যমেই করোনা ছড়াচ্ছে এদেশে।
রোগ সন্দেহ হলেই এমনভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে যেন তিনি সত্যিই করোনা আক্রান্ত। কঠোরভাবে ব্যবস্থা না নিতে পারলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে না।
আমি মেট্রোরেলে কাজ করি। সেখানে জনসমাগম অনেক। তাই মাস্ক কিনতে এসেছি বলে জানান এ ভারতবাসী।
ভাইরাসের বিস্তার বাড়তে থাকায় রাজধানী দিল্লির বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। সংক্রমণের শঙ্কায় হোলি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উৎসবটিতে রাষ্ট্রপতি ভবনেও থাকছে না কোনো আয়োজন। এদিকে প্রধানমন্ত্রী মোদি, এ সংকট মোকাবিলায় সবাইকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
ইতোমধ্যেই ইতালি, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ কয়েকটি দেশের নাগরিকদের ভিসা দেয়া স্থগিত করেছে নয়াদিল্লি। প্যারাসিটামলসহ ২৬ ধরনের ওষুধ রফতানিও আপাতত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বন্ধ আছে চীন ও হংকংগামী বিভিন্ন ফ্লাইট। বিমানবন্দর ও স্থল সীমান্তে চলছে পর্যবেক্ষণ। নেপাল সীমান্তে ১০ লাখের বেশি ব্যক্তিকে পরীক্ষা করার কথা জানানো হয়েছে।