প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ‘ত্রাসে’ কাঁপছে গোটা বিশ্ব। মারণ ভাইরাসের ছোবলে একের পর এক দেশে উঠেছে মৃত্যু ঝড়। বহু দেশ মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। স্থবির হয়ে পড়েছে বহু দেশ। সময় যত গড়াচ্ছে ততই বেলাগাম হয়ে উঠছে সংক্রমণ। তার মাঝেই দুঃসংবাদ শোনালেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেডরস অ্যাডানাম গেব্রিয়েসাস। গোটা দুনিয়াকে সতর্ক করে দিয়ে সোমবার তিনি বলেছেন, ‘করোনা পরিস্থিতি উত্তরোত্তর খারাপের দিকেই এগোবে।’
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এদিন জেনেভায় সংস্থার সদর দফতরে অনলাইন সাংবাদিক সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান কার্যত হতাশা প্রকাশ করেছেন। তাঁর কথায়, ‘অনেক দেশই ভুল পথে এগোচ্ছে। মারণ ভাইরাস রুখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আর সেই ভুল পথে এগিয়ে চলার কারণেই করোনাভাইরাস মহামারী আরও খারাপ পরিস্থিতি ডেকে আনতে পারে। মারণ ভাইরাসকে তুচ্ছ করে দেখার মূল্য চোকাতে হতে পারে সাধারণ মানুষকে। যদি স্বাস্থ্যবিধির মৌলিক বিষয়গুলো না মানা হয়, তাহলে এই মহামারী চলতেই থাকবে এবং এটি আরও খারাপ, খারাপ ও খারাপ হতে থাকবে।’
চিনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া মারণ ভাইরাসে সোমবার পর্যন্ত সারা বিশ্বে আক্রান্ত হয়েছেন এক কোটি ৩১ লক্ষ ৩৪ হাজার ৪৭৯ জন। প্রাণ হারিয়েছেন ৫ লক্ষ ৭৩ হাজার ২৯৯ জন। সক্রিয় করোনা রুগীর সংখ্যা ৪৯ লক্ষ ২ হাজার ১১৮ জন। তার মধ্যে ৫৮ হাসজার ৭৪৯ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। চলতি জুলাই মাসে করোনার সংক্রমণ আরও লাগামছাড়া হয়ে উঠেছে। গত পাঁচদিনেই বিশ্বজুড়ে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১০ লাখ মানুষ। তার মধ্যে রবিবার সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন। একদিনে ২ লক্ষ ৩০ হাজারের বেশি মানুষের শরীরে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পরেই বিশ্বের একাধিক দেশ যেভাবে লকডাউন শিথিলের পথে হেঁটেছে তা নিয়েও এদিন ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান। তাঁর কথায়, ‘প্রত্যেকের একটা কথা মাথায় রাখা উচিত যে। যতদিন না একজন মানুষকে মারণ ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা করা যাচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত কেউ নিরাপদ নয়। তাই যতদিন না মারণ ভাইরাসকে পরাজিত করা যাচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবেই মেনে চলতে হবে।’ সুত্রঃ এই মুহূর্তে।