করোনা ভাইরাস সংকটের মধ্যে ব্রাজিলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী লুইজ হেনরিক ম্যান্দেত্তাকেকে বরখাস্ত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো।
মহামারিটি মোকাবিলায় দুজনের মধ্যে কয়েক সপ্তাহ ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। বলসোনারো বলেছেন, উভয়ের সম্মতিতেই দায়িত্ব ছেড়ে যাচ্ছেন ম্যান্দেত্তা। তবে তার বরখাস্তের ঘটনায় ব্রাজিলের রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।
খবরে বলা হয়, লাতিন আমেরিকার মধ্যে সবচেয়ে করোনা আক্রান্ত দেশ ব্রাজিল। সেখানে ইতিমধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৯১৭ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজারের বেশি।
সংকটটি কিভাবে মোকাবিলা করা উচিৎ তা নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বলসোনারো ও ম্যান্ডেত্তার মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। ম্যান্দেত্তা করোনা মোকাবিলায় বিস্তৃত পরিসরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পক্ষে কথা বলে জনগণের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।
অন্যদিকে, বলসোনারো হালকা আইসোলেশনের পক্ষে কথা বলেছেন। তার যুক্তি, বিস্তৃত পরিসরে জনগণ আইসোলেশনে গেলে অর্থনীতি ও জনস্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বে। এতে লাখো ব্যবসা ও চাকরি ধ্বংস হয়ে যাবে।
বৃহস্পতিবার এক টুইটে নিজের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির ঘোষণা দেন ম্যান্দেত্তা। এরপর এক সংবাদ সম্মেলনে বলসোনারো বলেন, জীবন অমূল্য। কিন্তু অর্থনীতি ও কর্মসংস্থান স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরে যেতে হবে।
স্থানীয় গণমাধ্যম অনুসারে, ম্যান্দেত্তার জনপ্রিয়তায় বিরক্ত হয়ে তাকে বরখাস্ত করেছেন উগ্র ডানপন্থি পপুলিস্ট নেতা বলসোনারো। কয়েক সপ্তাহ ধরেই ম্যান্দেত্তার বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে আসছিলেন তিনি। ব্রাজিলজুড়ে মেডিক্যাল ও বৈজ্ঞানিক সংস্থাগুলো করোনা মোকাবিলায় বলসোনারোর বিরুদ্ধে বিপজ্জ্বনকভাবে দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের অভিযোগ এনেছে।
আশঙ্কা করা হচ্ছে ম্যান্দেত্তার বরখাস্তের ঘোষণায় তার বিরুদ্ধে সমালোচনার তীর আরো তীব্র হবে। কিছু এলাকায় ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভের খবর প্রকাশ হয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যমে। ম্যান্দেত্তার জায়গায় ব্রাজিলের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে দেশটির শীর্ষ ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ নেলসন তেইককে। তিনি পূর্বে বলসোনারোকে স্বাস্থ্য বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন।