ভূ-মধ্য সাগর ঘেঁষা ক্ষুদ্র দেশ হলেও ইসরাইলে ব্যাপক হারে ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাস। প্রায় ৯০ লাখ জনসংখ্যার এই দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজার ২০০ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু ২০০ ছুঁই ছুঁই। সেখানে করোনা আতঙ্কে দিন গুনছেন বন্দী ফিলিস্তিনিরা।
কারাগারগুলোতেও যাতে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে না পড়ে সে চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলে কর্তৃপক্ষ। প্রতিদিনই কারাগারগুলো জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে, কর্মকর্তা কর্মচারীদের শরীরের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে প্রতিদিন। বন্ধ করা হয়েছে বন্দীদের পরিবার পরিজন ও আইনজীবীদের যাতায়াত।
কিন্তু ইসরাইলের এসব পদক্ষেপেও থামছে না বন্দীদের আইনজীবীদের উদ্বেগ। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকা কয়েদিদের মুক্তি দিতে ইহুদি রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন তারা।
ইসরাইলের জেলে বর্তমানে ৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি বন্দী আছে। ইসরাইলে বলছে এদের মধ্যে এখন পর্যন্ত কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়নি।
কিন্তু ফিলিস্তিন বলছে মুক্তিপ্রাপ্ত এক বন্দীর শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। ইসরাইলের কারাগারে বন্দী ফিলিস্তিনিদের অন্যরাও প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত কি-না তা তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে ফিলিস্তিনের বিচার বিভাগ।
যাদের বয়স ৬৫ বা এর বেশি তাদের মুক্তি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেড ক্রসও। সংগঠনটির জেরুজালেম মিশনের প্রধান ডেভিড কেসনে বলেন, “আমরা চাই তাদের যত সম্ভব মুক্তি দেওয়া হোক। তা না হলে ঝুঁকি থেকে তাদের সরিয়ে নেওয়া হোক।”
কারাগারগুলোতে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে এএফপিকে জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রিজন সার্ভিস।
বন্দীরা করোনার ঝুঁকিতে আছে বলে ফিলিস্তিনসহ অন্যান্য গণমাধ্যমে যেসব সংবাদ এসেছে তা প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরাইলি প্রিজন সার্ভিস। তারা জানিয়েছে, প্রত্যেক বন্দীকে দুটি করে মাস্ক দেওয়া হয়েছে। নতুন বন্দীকে নিয়মানুযায়ী ১৪ দিন আইসোলেশনে রাখা হচ্ছে।