প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের নানারকম ধরন ও উপসর্গ যত দিন যাচ্ছে ক্রমে ততই জানা যাচ্ছে। আগে মনে করা হচ্ছিল, সার্স-কোভ ২ বা কোভিড-১৯ কেবলমাত্র যাদের রোগলক্ষণ বাইরে থেকেই দেখা যাচ্ছে, তাদেরই হয়। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, কোনও লক্ষণই নেই এমন লোকজনও করোনায় আক্রান্ত।
কারা লক্ষণহীন?
সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী করোনা ছড়াচ্ছে নীরব আক্রান্ত বা সাইলেন্ট স্প্রেডারদের মাধ্যমেও। যারা লক্ষণহীন তারা জানেই না তাদের করোনা হয়েছে। তারা তাদের দৈনন্দিন কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে মেলামেশা করছে। তারা যে রোগ ছড়াচ্ছে সেই ধারণাই তাদের নেই।
নীরব আক্রান্তরা তিন ধরনের। অ্যাসিম্পটমেটিক, প্রি সিম্পটমেটিক এবং মাইল্ড বা সামান্য সিম্পটমেটিক।
মাইল্ড বা সামান্য সিম্পটমেটিক অর্থাৎ সামান্য লক্ষণযুক্ত রোগীরা একেবারেই সাধারণ সর্দিকাশি বা সামান্য জ্বরে ভুগছে। কিছুটা তারা শ্রন্তিবোধও করে।
প্রিসিম্পটমেটিক তারাই যাদের প্রায় এক সপ্তাহ কোনও লক্ষণই থাকে না। পরে কাশি, জ্বর ও ক্লান্তিবোধ দেখা যায় তাদের।
আর অ্যাসিম্পটমেটিকদের একেবারেই কোনও লক্ষণ থাকে না। ফলে তারাই সবথেকে বেশি মানুষকে সংক্রমিত করে। তাদের মাধ্যমেই ভয়াবহ চেহারা নেয় মহামারী।
তাছাড়া, লক্ষণহীন রোগীর কিছু অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা দিতে পারে, যা সাধারণত করোনা রোগীদের মধ্যে দেখা যায় না। যেমন গন্ধ হারানো, স্বাদ হারানো, পেট খারাপ হওয়া ইত্যাদি।
কিছু ক্ষেত্রে যাদের অ্যাসিম্পটমেটিক বলে ধরা হচ্ছে, তারা আসলে সামান্য লক্ষণযুক্ত। তাদের কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা উচিত। ৫০ বা তারও বেশি বয়সী এবং অন্য রোগে আক্রান্তদের আলাদা সতর্কতা নেওয়া উচিত।