প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে থেমে আছে বিশ্বের অর্থনীতির চাকা। থেমে আছে উৎপাদন, বিপণন, কলকারখানা। তাতে বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকটের দিকে ধাবিত হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থা ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের (ডব্লিউএফপি) নির্বাহী পরিচালক ডেভিড বেসলি জানিয়েছেন করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বের ৩৬টি দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে। তার মধ্যে ১০টি দেশের ১০ লাখ মানুষ এখনই অনাহারে দিন কাটাচ্ছে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভার্চুয়াল সেশনে বেসলি বলেন, করোনাভাইরাসের সবচেয়ে খারাপ প্রভাব হিসেবে বিশ্বের তিন ডজন দেশে দুর্ভিক্ষ নেমে আসতে পারে। ইতোমধ্যে ১০টি দেশে প্রায় ১ মিলিয়ন লোক অনাহারে দিন কাটানোর দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। অনেক দেশে এই মানবিক সমস্যাটার কারণে নানাধরনের সহিংসতা, দ্বন্দ্ব ও বিবাদ তৈরি হতে পারে।
বৈশ্বিক খাদ্য সংকটের চতুর্থ বাৎসরিক প্রতিবেদন অনুযায়ী ইয়মেন, গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গো, আফগানিস্তান, ভেনেজুয়েলা, ইথিওপিয়া, দক্ষিণ সুদান, সুদান, সিরিয়া, নাইজেরিয়া ও হাইতিতে খাদ্য সংকট রয়েছে। দক্ষিণ সুদানের ৬১ শতাংশ মানুষ গেল বছর খাদ্য সংকটের শিকার হয়েছিল।
করোনাভাইরাসের মহামারি শুরু হওয়ার আগেই পূর্ব আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কিছু দেশ তীব্র খাদ্য সংকটের মুখে পড়েছিল খরা ও পঙ্গপালের হামলায়।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিশ্বের ২৫ লক্ষাধিক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। প্রাণ হারিয়েছে ১ লাখ ৭৭ হাজার ২৩৪ জন। করোনার সঙ্গে লড়াই করে সেরে উঠেছে ৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮২৭ জন।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি ও বিবিসি।