প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক বার করার চেষ্টা চলছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। ঠিক প্রতিষেধকটি খুঁজে পাওয়া গেলেই খুব দ্রুত ও বিপুল সংখ্যায় তা উৎপাদনের প্রয়োজন পড়বে। আর এই ক্ষেত্রে গোট বিশ্বে ভারত নিঃসন্দেহে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও অগ্রণী ভূমিকা নিতে চলেছে।
ভারতের ছ’টি বড় সংস্থা বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কোভিড-১৯-এর প্রতিষেধক বা টিকা বার করার জন্য দিনরাত এক করে চেষ্টা চালাচ্ছে। পুণের সিরাম ইনস্টিউট তাদের অন্যতম। সংস্থাটির সিইও এ পুণাওয়ালা জানাচ্ছেন, তাঁরা এখন মার্কিন সংস্থা কোডাজেনিক্সের সঙ্গে মিলে এমন প্রতিষেধক তৈরির চেষ্টা করছেন, যা ওই ভাইরাসকে মারবে না, কিন্তু তাঁর ক্ষতি করার ক্ষমতা নষ্ট করে দেবে অনেকটাই।
এপ্রিলে প্রাণীর উপরে ও সেপ্টেম্বর নাগাদ মানবদেহে পরীক্ষা শুরু করা যাবে বলে তাঁর আশা। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় যুক্ত রয়েছে সংস্থাটির সঙ্গে।
গবেষণা ও পরীক্ষায় সাফল্য মিললে সেপ্টেম্বরেই কোটি কোটি ডোজ় প্রতিষেধক তৈরির প্রয়োজন পড়বে। ৫৩ বছরের সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউটের ৭০০০ কর্মী বিশ্বে প্রতিষেধকের সবচেয়ে বেশি ডোজ় (বছরে প্রায় ১৫০ কোটি) তৈরি ও বিক্রি করেন।
পুণেতে দু’টি ছাড়াও নেদারল্যান্ডস ও চেক প্রজাতন্ত্রে কারখানা রয়েছেন এদের। এরা ২০টি রোগের টিকা পাঠায় ১৬৫টি দেশে। যা দামেও সস্তা। পুণাওয়ালার দাবি, অতিরিক্ত ৪০-৫০ কোটি ডোজ় তৈরির ক্ষমতা রয়েছে তাঁদের। সমান্তরাল ভাবে লড়ে যাচ্ছে হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেক। সঙ্গী আমেরিকার উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়, ম্যাডিসন ও সেখানকারই বায়োটেক সংস্থা ফ্লুজেন। তারা ৩০ কোটি ডোজ় জোগাতে পারবে বলে জানিয়েছে।
জ়াইডাস ক্যাডিলা দু’টি এবং একটি করে প্রতিষেধকের উপরে কাজ করছে বায়োলজিক্যাল ই, ইন্ডিয়ান ইমিউনোলজিক্যালস ও মাইভ্যাক্স। চার-পাঁচটি দেশীয় সংস্থা প্রতিষেধকের অনুসন্ধান চালাচ্ছে। ভারতের বিপুল পরিমাণ উৎপাদন ক্ষমতায় ভরসা রাখছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও।