গতকাল সোমবার বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিজয় দিবসের আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে আজ সকালে ১৪ দফার ইশতেহার ঘোষণা করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ক্ষমতায় এলে দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকা যাবে না বলে জানায় এই জোট। একথার সমালোচনাতেই প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাদের (জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট) নির্বাচনী ইশতেহারে দেখলাম, ঘোষণা করেছে যে ১০ বছরের স্বেচ্ছাচারিতাকে নাকি পরিবর্তন করবে। তাহলে পরিবর্তন কি জঙ্গিবাদ সৃষ্টি, বাংলা ভাই সৃষ্টি, মানি লন্ডারিং, দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন, বাংলাদেশে আবার সন্ত্রাস, আবার সেই ভুয়া ভোটার দিয়ে ভোটার তালিকা, আবার নির্বাচনের নামে প্রহসন, এই পরিবর্তন তারা আনতে চান?’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাওয়া ভবনের মতো ক্ষমতার বিকল্প কেন্দ্র করেনি তাঁর সরকার। জানতে চান, যারা মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে তারা কোন মুখে দেশের মানুষের কাছে ভোট চাইবে। সমালোচনা করেন, ঐক্যফ্রন্টের দেওয়া ইশতেহারের। তাছাড়া ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় এলে সরকার প্রধান কে হবে, তা নিয়েও প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাদের সরকার প্রধান কে হবে? এতিমের অর্থ আত্মসাৎকারী সে হবে? না, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আইভী রহমানের হত্যাকারী, সাজা পাওয়া আসামি সে হবে? বা যাদের যুদ্ধাপরাধী হিসেবে সাজা দিয়েছি, তাদের কেউ হবে? সেটা তো স্পষ্ট করে তারা জানায় নাই।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীরা কিভাবে নমিনেশন পায়? কিভাবে তারা প্রার্থী হয়? যারা বাংলাদেশই চায়নি। আর তাদের দোসর কারা? আমাদের এই স্বনামধন্য, যারা তত্ত্বকথা দিয়ে, অনেক মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছে। আমি আর কারো নাম নিতে চাই না। কারণ মনে হয় যেন, এখন এই নামই মুখে আনা উচিত না। আমার তাদের জন্য করুণা হয়। কারণ তারা দিকভ্রষ্ট। তারা ভ্রষ্টা হয়ে গেছে। তাদের আর কোনো নীতি নাই। নীতিভ্রষ্ট।’ শেষে উন্নয়ন অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে আবারো নৌকায় সমর্থন চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর কেউ যাতে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে না পারে সেদিকে সবার নজর রাখারও আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি। সূত্র : এন টি ভি