মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে কালবৈশাখীর ঝড়ে প্রায় শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া গাছপালা উপড়ে পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙেছে এবং তার ছিঁড়ে গেছে। গত শুক্রবার দিনগত রাত ৩টার দিকে এই কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায় একই সাথে শিলা বৃষ্টির তান্ডব।
সরেজমিনে উপজেলার, বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, কালবৈশাখী ঝড়ে অনেকের বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। গাছ-বাশঁ ঘরের উপরে পরেছে। বিশেষ করে উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নে প্রায় অর্ধ শতাধিক বাড়ি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। খোলা আকাশের নীচে বসবাস করছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। এছাড়া উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়ন মিলে প্রায় শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। তারা এখন এ পরিস্থিতিতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
পতনঊষার ইউনিয়নের ময়নুল মিয়া, কুশবা বেগম, লিপি বেগম, রহমান মিয়া, সুফিয়ান মিয়া, কালাম মিয়া, আনু মিয়া, ফখরুল মিয়াসহ উপজেলার প্রায় শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, গতকাল রাত তিনটার দিকে কালবৈশাখী ঝড়ের সাথে তীব্র শিলা বৃষ্টি হয়। মুহুর্তের মধ্যে আমাদের ঘর একেবারে উড়িয়ে নিয়েছে। আমরা এখন খোলা আকাশের নীচে বসবাস করছি। আমাদেরকে সহোযোগিতা না করলে আমরা রাস্তায় থাকতে হবে।
পতনঊষার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অলি আহমদ খান বলেন, গতকাল রাতে কালবৈশাখী ঝড়ে আমর ইউনিয়নে প্রচুর পরিমাণ বাড়ি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। অনেক পরিবার খোলা আকাশের নীচে বসবাস করছে।
মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের উপমহাব্যবস্থাপক গোলাম ফারুক মীর বলেন, ঝড়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কয়েকটি খুঁটি ভেঙে গেছে। অনেক স্থানে তার ছিঁড়ে গেছে। এসব জায়গায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার জন্য কাজ চলছে।
এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জয়নাল আবেদীন বলেন, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের বলা হয়েছে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে দেওয়ার জন্য। দ্রুত সময়ে তাদেরকে সহোযোগিতা করা হবে। আমার সাথে ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক পরিবারের কথা হয়েছে।
আজ ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ১০:১৫ | শুক্রবার
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজুর রহমান (বাপ্পি)