খুলনার পাইকগাছায় কপোতাক্ষ নদে অব্যাহত ভাঙ্গনে মানচিত্র থেকে হারিয়ে গেছে কয়কটি গ্রাম। বারবার পরিবর্তন হয়েছে সড়ক পথ। উপজেলর কপিলমুনি ও হরিঢালী ইউনিয়ের ৫ টি গ্রামের তিনভাগের দু-ভাগ বিলীন হয়ে গেছে নদের গর্ভে। এর মধ্যে হরিঢালী ইউনিয়নের রামনাথপুর, হাবিবনগর ও কপিলমুনি ইউনিয়নের দরগামহল, মালথ, শিলেমামপুর গ্রাম।
১৯৮০-৮১ সালে কপোতাক্ষ নদের ভাঙ্গন শুরু হয়। যা আজও অব্যাহত রয়েছে। দু-বার পরিবর্তন হয়েছে খুলনা- পাইকগাছা প্রধান সড়ক। সে সময়ের গ্রাম্য সড়ক বলতে আর একটিও নেই। নেই সেই মাজার, ঈদগাহ, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বাজারসহ বাগ বাগিচা। সর্বহারা হয়েছে হাজার লোক ও শত শত বসতি। এমনটি নিশ্চিত করেছে স্থানীয় শেখ মিজানুর রহমান ও শ্যামল মন্ডল। একারণে হাজার হাজার লোক সর্বহারা হয়ে চলে গেছে অন্যত্র।
এ বিষয়ে কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান কওসার আলী জোয়াদ্দার ও হরিঢালী ইউপি চেয়ারম্যান আবু জাফর সিদ্দিকী রাজু বলেন, ভাঙ্গনের বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিকট বলেছি কিন্তু কোন কাজ হয়নি।
পাইকগাছা উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাজু আহম্মেদ হাওলাদার বলেন, আমরা ভাঙ্গনের বিষয় উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ও মৌখিকভাবে অবহিত করেছি। বরাদ্ধ পেলে কাজ শুরু করা হবে।
পাইকগাছা- কয়রার সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন, এলাকার ভাঙ্গনটি দির্ঘদিনের। দুটি গ্রাম বিলিন হওয়ার পথে। ভাঙ্গন ঠেকাতে এক কিলোমিটার দুর দিয়ে বিকল্প নদী খনন করা হচ্ছে। শেষ হলে এ ভাঙ্গন আর থাকবেনা।
*** আজ ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ১১:০২ | রবিবার ***
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পি