হিমালয়ের হিমেল বাতাসে কনকনে ঠান্ডায় দিনাজপুরের জনজীবন বিপর্যস্ত। সন্ধ্যা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত মাত্রাতিরিক্ত শীত অনুভূত হচ্ছে। সবচে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষেরা। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন তারা। আবহাওয়া অফিস বলছে, চলতি শীত মৌসুমে ব্যতিক্রম পরিলক্ষিত হচ্ছে, সন্ধ্যার পর ক্রমশ দ্রুতগতিতে তাপমাত্রা হ্রাস পাচ্ছে। আর শীত মোকাবেলায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
দিনাজপুর জেলার তাপমাত্রা ২২ ডিগ্রী থেকে ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। গত বছর দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষেরা।
এক ইজিবাইক চালক বলেন, ‘কুয়াশার কারণে আমরা বাড়ি থেকে বের হতে পারি না। যে ঠান্ডা পড়েছে তাতে গাড়ি চালাতে খুব কষ্ট হয়।’
অপর একজন বলেন, ‘শীত এত বেড়ে গেছে যে বৃদ্ধরা তো বটেই, সব বয়সী মানুষেরই দুর্ভোগ বেড়ে গেছে।’
এদিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ক্রমশ তাপমাত্রা হ্রাস পাবে।
শীত মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানালেন জেলা প্রশাসক মোঃ মাহমুদুল আলম।
তিনি বলেন, ‘সরকারিভাবে আমরা ১২ হাজার কম্বল পেয়েছি। সেগুলো আমরা ১৩টি উপজেলায় বিভাজন করে দিয়েছি। এছাড়া দানশীল ব্যক্তি এবং ব্যবসায়ীদের কাছে আমরা চিঠি দিয়েছি। আমরা ভালো রেসপন্স পেয়েছি। আগামী সপ্তাহ থেকে তাদের কাছ থেকেও আমরা কালেকশন করা শুরু করবো।’
দিনাজপুরে ১৩টি উপজেলার ৩৩ লাখ মানুষের মধ্যে দরিদ্র ও ছিন্নমূলদের মধ্যে জেলা প্রশাসন এ পর্যন্ত ৫২ হাজার কম্বল বিতরণ করেছে।