এ. কে. রিফাত, কক্সবাজারঃ মহেশখালীর সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা জন্মনিবন্ধন সনদের মাধ্যমে সরকারি সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন করে মহামারী করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার ।
তারই ধারাবাহিকতায় ৮ জানুয়ারি শনিবার সকাল ১০ টায় মহেশখালী উপজেলার ৩৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১৮ হাজার শিক্ষার্থীদের মাঝে এই টিকা কায়ক্রম শুরু করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স । মহেশখালীর দুটি ভেন্যুতে (উপজেলা পরিষদ হল রুম ও মাতারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ) এ এই টিকা প্রদান করা হচ্ছে বলে জানা যায়।
মহেশখালীতে যে সব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা টিকা গ্রহন করবে-
মহেশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ১৬৮০ জন, গোরকঘাটা উচ্চ বিদ্যালয় ৫১৩ জন, মহেশখালী কলেজ ৭০০ জন, মহেশখালী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ৪০০ জন, লিডারশীপ হাই স্কুল ৪০০ জন, ক্যামব্রিয়ান হাই স্কুল ৭০ জন, পুটিবিলা ইসলামীয়া ফাজিল মাদ্রাসা ৪২৫ জন।
বড় মহেশখালী; সরকারী বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজ ২৫০ জন, আলমমগীর ফরিদ বিএম কলেজ ১৫০ জন, মহেশখালী আইল্যান্ড হাই স্কুল ১৬৫০ জন, বড় মহেশখালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ৯০৫ জন, মহেশখালী মহিলা দাখিল মাদ্রাসা ১৮০ জন, বড় মহেশখালী দারুল কোরান দাখিল মাদ্রাসা ৪২৫ জন।
কুতুবজুম উচ্চ বিদ্যালয় ৮২৫ জন , কুতুবজোম অফসোর হাই স্কুল ৫০০ জন , ঘটিভাঙ্গা নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২৭০ জন , কুতুমজোম জামেয়া সুন্নাহ ৪৫০ জন, তাজিয়া কাটা সুমাইয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসা ১৯৫ জন, কুতুবজোম ইসলামীয়া ক্যাডেট এন্ড কেজি মাদ্রাসা ৯০ জন।
ছোট মহেশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ৬৩০ জন, ছোট মহেশখালী বহুমূখি বিদ্যালয় ৮০ জন, আহমদিয়া তৈয়বিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসা ৫০০ জন, সিপাহীর মদিনাতুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা ১৯০ জন।
শাপলাপুর ইসলামীয়া আলিম মাদ্রাসা ৬০৬ জন, ষাইট মারা দাখিল মাদ্রাসা ৩২৮ জন, কায়দাবাদ ইসলামীয় দাখিল মাদ্রাসা ১২০ জন, শাপলাপুর নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ৬০ জন, ষাইটমারা রেসিডেশিয়ান বিদ্যালয় ৫০ জন, বারিয়া পাড়া মডেল একাডেমি ৭০ জন, আলহাজ মাষ্টার আব্দুল গণি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৪০ জন, শাপলাপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ১৩৪৭ জন, জেমঘাটা হাই স্কুল ৮৩৫ জন।
মাতারবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় ২০০০ জন, মাতারবাড়ি আইডিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ১৫০ জন, মাতারবাড়ি নিম্ন মাধ্যমিক পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় ৩০০ জন, মাতারবাড়ি কিন্ডার গ্যাডেন এন্ড প্রি ক্যাডেট স্কুল ১০০ জন ছাত্রছাত্রী সহ মোট ১৮ হাজার শিক্ষার্থী এই টিকা গ্রহন করবে ।
উক্ত বিষয়ে মহেশখালী উপজেলা সাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.মোঃমাহফুজুল হক জানান,মহেশখালী উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন ২ হাজার করে ক্রমান্নয়ে মোট ১৮ হাজার শিক্ষার্থীকে বিনামুল্যে ফাইজার টিকা প্রদান করা হবে। শিক্ষার্থীদের জন্মনিবন্ধন নিয়ে কোন ঝামেলা থাকলে প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং স্থানীয় মেয়র,চেয়ারম্যানদের সাথে যোগাযোগ করে দ্রুত তা নিষ্পত্তি করে টিকা গ্রহন করার আহবান জানান।
মাউশির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যেসব শিক্ষার্থীর জন্মনিবন্ধন নেই (৬ জানুয়ারির মধ্যেও ) এবং যাদের ১৬ নম্বরের ( ডিজিট ) নিবন্ধন নম্বর নেই, তাদের পুনরায় নিবন্ধন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জানানোর আহবান নির্দেশ দিয়েছেন ।