মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় বসেছে ঐতিহ্যবাহী ‘মাছের মেলা’। প্রতি বছর পৌষ সংক্রান্তিকে কেন্দ্র করে সংক্রান্তির আগের দিন এ মেলার আয়োজন করা হয়। রবিবার (১৪ জানুয়ারি) উপজেলার ব্রাক্ষ্মণবাজারে মাছের মেলা ঘুরে দেখা যায়, মাছের আড়ৎদাররা মাছ নিয়ে এসেছেন।
মজুত করে রাখা হয়েছে ছোট-বড় নানা জাতের মাছ। সারিসারি সাজানো আছে বোয়াল, আইড়, বাঘা, চিতল, কাতলা, পাপদা, রুইসহ বড় আকারের বিভিন্ন ধরনের মাছ।
মাছ ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এই মাছের মেলাকে কেন্দ্র করে মাছ ব্যবসায়ীরা অনেক আগে থেকেই কে কত বড় আকৃতির মাছ মেলায় তুলে আনতে পারেন এ নিয়ে চিন্তাভাবনা করে রাখেন । স্থানীয় হাওর এবং মাছের খামার ছাড়াও নওগাঁর মান্দা, পাবনা, জয়পুরহাট, সিরাজগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও ঢাকা থেকে মাছ আনা হয়।
এছাড়া মৌলভীবাজারের হাকালুকি, কাওয়াদিঘি, হাইল হাওর ও মনু, ধলই, কুশিয়ারা নদীসহ বৃহত্তর সিলেটের বিভিন্ন হাওরের মাছের উপর নির্ভর করে প্রতি বছরই বসে এ মেলা। মৎসজীবীরা এই মেলায় মাছ বিক্রির জন্য পাঁচ-ছয় মাস আগে থেকেই বড় বড় মাছ সংগ্রহ করে থাকেন। এই মাছগুলো বিশেষ ব্যবস্থায় পানিতেই বাঁচিয়ে রাখা হয়।
উপজেলার ব্রাক্ষ্মণবাজার মাছের মেলায় মাছ কিনতে যাওয়া জনি বলেন, ‘আমি প্রতিবছর মাছ কিনতে আসি। মেলা উপলক্ষে ৫ হাজার টাকার মধ্যে একটি মাছ কিনতে এসেছি।
শৈবাল নামের একজন ক্রেতা বলেন, ‘বাজারে দেখলাম ২০-২৫ হাজার টাকার মাছ উঠেছে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে দেখলাম একটা মাছ ১২ হাজার টাকা দিয়ে বিক্রি হয়েছে।
মাছ বিক্রেতা সাজিদ জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর মাছের দাম কম আছে। প্রতিদিনের বাজার থেকে এই মেলায় তেমন পার্থক্য নেই।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, সন্ধ্যার পর থেকে মানুষের ঢল নেমেছে মাছের মেলায়। মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, এখন মানুষ শুধু মেলা দেখতে বেশি ভিড় জমাচ্ছেন। রাত বাড়ার সাথে সাথে ক্রেতাদের আগমন বাড়বে বলে ধারণা করছেন।
আজ ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৯:৩৪ | শুক্রবার
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পি