পর্যটক প্রিয় মালদ্বীপের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে ভারত ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘোষণা দেয়। বলা হচ্ছে, এশিয়ায় চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব বলয়ের সম্প্রসারণকে টেক্কা দিতে নয়াদিল্লির কূটনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টার মাঝেই এই ঘোষণা। খবর রয়টার্সের।
জানা গেছে, মালদ্বীপের রাজধানী মালের সঙ্গে দেশটির তিনটি দ্বীপের যোগাযোগ স্থাপন করতে ভারতের বিশাল এই প্যাকেজ ঘোষণা দেয়া হয়েছে। বিস্তীর্ন সৈকত ও সমুদ্রের নীল জলরাশির জন্য পর্যটকদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় ভারত মহাসাগরের দ্বীপ দেশ মালদ্বীপ। এই অঞ্চলের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও পরিবহন সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে দেশটি।
বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল্লা শহীদকে বলেন, ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মাধ্যমে রাজধানী মালের সংযোগ প্রকল্পে সহায়তা করবে নয়াদিল্লি। এছাড়াও আরও ৪০০ মিলিয়ন ডলারের নতুন ঋণ দেয়া হবে।
জয়শঙ্কর বলেন, রাজধানী মালেকে ভিলিংগিলি, গুলহিফাহু ও থিলাফুশি দ্বীপের সঙ্গে সংযুক্ত করার পরকিল্পনাটি হবে মালদ্বীপের বৃহত্তম বেসামরিক অবকাঠামো প্রকল্প। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৃহত্তর সংযোগের ফলে সমৃদ্ধি বয়ে আসবে উল্লেখ করে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই প্রকল্পের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের নির্বাচনে মালদ্বীপের প্রভাবশালী চীনপন্থী নেতা আব্দুল্লা ইয়ামিনের পরাজয়ের পর প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম সোলিহ ক্ষমতায় আসেন। সোলিহ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই দ্বীপদেশে কূটনৈতিক প্রভাব আবারও ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছে ভারত।
গত বছর দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ইয়ামিনকে অর্থ-পাচারের মামলায় অভিযুক্ত করে দেশটির একটি আদালত পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। আব্দুল্লা ইয়ামিনের বিরুদ্ধে উপঢৌকনের বিনিময়ে চীনের কোম্পানিকে একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ, হুলহুমালেকে রাজধানীর সঙ্গে সংযুক্ত করতে একটি প্রধান সেতু নির্মাণ কাজ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।