বি এন পি নির্বাচন কমিশন গঠনের আইন দাবী করেছিল। সেই আইন জাতীয় সংসদে পাশ হয়েছে। বি এন পি’র সাংসদরাও অংশ নিয়েছে এই আইন প্রনয়নে। তাহলে এখন এই আইন নিয়ে বিরোধীতা কেন? দলটি সার্চ কমিটির কাছে নাম প্রস্তাব করেনি, রাষ্ট্রপতির ডাকা সংলাপেও যায়নি তারা। তাহলে বি এন পি কি চায়? নির্বাচনের জন্য বি এন পি কি সত্যই অপরিহার্য? ৩ বার ক্ষমতায় ছিল বি এন পি। কোন উল্লেখ্যোগ্য অর্জন নেই তাদের। কিছু মানুষ তাহলে বি এন পি’কে নিয়ে এত উৎসাহ দেখাচ্ছে কেন?
অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে সামরিক ছাউনিতে বসে সেনাবাহিনী দিয়ে দল গঠন করেছিলেন জিয়া। গনতন্ত্রকে বুটের তলায় পিষ্ট করে অবৈধ শাসন চালিয়েছে জোড় করে। তারই দল বি এন পি এখন গন্তন্ত্রের কথা বলে, বিষয়ট হস্যকর নয়কি? এখানেই শেষ নয়। কুখ্যাত রাজাকার এবং যূদ্ধাপরাধীদের মুক্ত করে ক্ষমতায় বসিয়েছে দলটি। বঙ্গবন্ধুর খুনী চক্রকে সরকারী চাকুরী দিয়ে পুরস্কৃত করেছে। মিথ্যা জন্মদিন বানিয়ে বঙ্গবন্ধুর শাহাদত বার্ষীকিতে উৎসব করেছে। যারা জিয়ার আদর্শের শ্লোগান দেন তাদের কাছেই জানতে চাই কি ছিল জিয়ার আদর্শ? দয়া করে বলবেন কি? স্বাধীনতার আদর্শকে ভুলুন্ঠিত করে পাকিস্তানের আদলে ধর্মান্ধতাকে উষ্কে দেওয়া যদি আদর্শ হয়, তাহলে এটাই ছিল জিয়ার আদর্শ।
এখন বি এন পি আরও এক ধাপ এগিয়ে গেছে। বলছে বর্তমান সরকারের অধীনে তারা কোন নির্বাচন হতে দিবেনা। তাহলেকি তারা জোড় করে নির্বাচন বন্ধ করবে? নির্বাচন নিয়ে এমন হুশিয়ারিত দন্ডনিয় অপরাধ! এই বক্তব্যের কারনেইত দলটির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায়! বি এন পি’র কি নির্বাচন বন্ধ কিরে দেওয়ার স্বক্ষমতা আছে? বি এন পিকে জনগন প্রত্যাখ্যান করেছে আগেই। এখন জোটের সদস্যরাও সটকে পরছে। দলের নেতাও জেলখানায় বন্ধী। কি দিয়ে বি এন পি নির্বাচন প্রতিহত করবে? সব হারিয়ে বেশামাল নেতারা প্রলাপ বকছেন অন্যের ইশারায়।
জনগনের কাছে গিয়ে দেখুন, শুনুন বহুদুর পিছিয়ে গেছেন। সরকার আপনাদের গরম বক্তব্যের তোয়াক্কা করেনি। বদলে দিয়েছে দেশকে। এই বদলে যাওয়া এখন বিশ্ববাসিও স্বিকার করে। উন্নয়নের মডেল রাষ্ট্রের খেতাব অর্জন করে বাংলাদেশ এখন ভিন্ন উচুতে চলে গেছে। কোন ভরসায় জনগন বি এন পি’কে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে?
সরকারী দলের অনেক নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। অভ্যন্তরিন কোন্দলেও আছে। এই অভিযোগ বি এন পি’র পক্ষে নয়। দলীয় কোন্দলকে ইস্যু করে যারা বি এন পি’কে স্বপ্ন দেখান তারা নিজেরাও দিবা স্বপ্ন দেখছেন। যত অনুযোগই থাকুক শেখ হাসিনার ডাকে সব নেতাকর্মী এক হয়ে যাবে। বি এন পি’রত নেতাই নেই! এমন একটি নীতিহীন দুর্বল দলকে নিয়ে যারা মেতে উঠেছে তারা কেউ অচেনা নয়। নিজেদের অবস্থান হারিয়ে এখন ব্যক্তিগত শত্রুতার পথ বেছে নিয়েছে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। বি এন পি’কে দিয়ে হাসিনার বিরূদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে চাইছে এই নেতারা। কিন্তু শেখ হাসিনার বিকল্প কোন নেতৃত্ব নেই এখন। প্রতিনিয়ত মিথ্যাচার করে এই চিহ্নিত ব্যক্তিরা রাজনীতিকে বিনষ্ট করছে। রাজনীতির যা কিছু ক্ষতি হয়েছে তা সাধারন মানুষ করেনি, গুটি কয়েক ব্যক্তি তা করেছে উদ্দেশ্যপ্রনদিতভাবে। অপরাজনীতির বিষ পাপ ছড়িয়ে দেশে। এরাই দেশের মূল শত্রু।
আজিজুর রহমান প্রিন্স, বিশিষ্ট সমাজসেবক, কলামিস্ট, টরন্টো, কানাডা।